অটিস্টিক ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সাত বছর ধরে একটি বহুমুখি ও বহু পরীক্ষায় মডেল বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্য অর্জনে অনেক অগ্রগতিও হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অটিস্টিক ব্যক্তি এবং শিশুদের গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অটিস্টিক শিশুদের দায়িত্ব গ্রহণ এবং তাদের অধিকার রক্ষায় ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। শুধু তাই নয়, বাবা-মায়ের অবর্তমানে অটিস্টিক শিশুদের লালন-পালনের দায়িত্ব রাষ্ট্রই গ্রহণ করবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অটিস্টিক বিষয়টি নিয়ে সবসময়ই উপলব্ধি করছেন এবং পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে মায়েদের। সরকার ইতোমধ্যে একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যে, যে সব শিশুদের মা-বাবা বা কোন অভিভাবক না থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের লালন পালনের ব্যবস্থা করা হবে। অটিজমসহ সবধরনের প্রতিবন্ধী শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাদের মেধা ও যোগ্যতা প্রকাশেরও অধিকার আছে। তাদের সেই সুযোগ দিতে হবে।
এ ব্যাপারে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে অটিজম চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬৪ জেলায় এবং ৩৯টি উপজেলায় ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে অটিজম কর্নার চালু করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ২০লাখ প্রতিবন্ধী সেবা গ্রহণ করছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ ১৫টি মেডিকেল শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করে অটিজম সমস্যাজনিত শিশুদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা থেকে এই সেবা দেয়াসহ সেবা প্রদানকারীদের প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। অটিজমসহ সবধরনের প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের কার্যক্রম সফল হোক এটি আমাদের প্রত্যাশা। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান, সচেতন মহল এ কাজে এগিয়ে আসবেন বলে মনে করি।