জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুর উপজেলায় রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে নদী খনন চলছে। ড্রেজারে উত্তোলনকৃত মাটি প্রায় এক মাস ধরে অবৈধভাবে বিক্রি করায় নদীপাড়ের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা কাচা মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ রোড প্রকল্পের অধীনে জামিল ইকবাল লিমিটেড ও ন্যাশনাল লিমিটেড নামের দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নদীতে খননের কাজ করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন উত্তোলনকৃত মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলনকৃত মাটি নদীর পাড়ে না রেখে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার ফুট দূরত্বে জমিতে ভরাট করা হচ্ছে। নদী খননের মাটি নদীর পাড়ে রাখা হলে, নদীর পাড়ের লোকজন উপকৃত হতেন। তা না করে দূরত্বের জমিতে প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মাটি রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জগন্নাথপুর-ইনাতগঞ্জ সড়ক ভেঙে নদী খননের পাইপ লাইন টেনে নেয়া হয়েছে। ওই স্থান থেকে সিন্ডিকেটের লোকজন অবৈধভাবে অন্যত্র মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামিল ইকবাল লিমিটেড এর ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম মিঠু ও ন্যাশনাল লিমিটেড এর ম্যানেজার মোশারফ হোসেন মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা শুধু বিআইডব্লিউটিএ এর ইঞ্জিনিয়ারের দেখানো জায়গায় মাটি ফেলে থাকি। এরপর এসব মাটি কে নেয় এবং কোথায় যায়, তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ এর ইঞ্জিনিয়ার সবুজ হোসেন বলেন, ‘আমি গত এক মাস ধরে এ সাইটে নেই। আমি দায়িত্বে থাকাকালে দুইজনের কাছে বৈধভাবে মাটি বিক্রি করেছি। বর্তমানে কি হচ্ছে, তা আমার জানা নেই।’
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।