স্টাফ রিপোর্টার ::
একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরি করে ফুল দিতে আসা লোকজন শহীদ মিনার জলাবদ্ধ ও অপরিষ্কার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরতদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার জেলা প্রশাসনের অধীনেই থাকে। তাই প্রশাসনেরই শহীদ মিনার সংস্কার করার কথা। প্রশাসন শহীদ দিবস পালনে এক সপ্তাহ আগ থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। সুনামগঞ্জেও তাই হয়ে থাকে। কিন্তু শহীদ দিবসের এক সপ্তাহ আগে পালনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কারের প্রতি তেমন আন্তরিকতা দেখা যায় না। এবার একুশের ভোরে তাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুল দিতে আসা সাধারণ জনতা।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পরপরই পাকিস্তানি হানাদারদের কবল থেকে উদ্ধারকৃত পণ্য বিক্রি করে সুনামগঞ্জ মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্ট গঠিত হয়। এই সংগঠনের টাকা ব্যাংকে জমা আছে। সরকারিভাবে রেজিস্ট্রিকৃত এই ট্রাস্টের নীতিমালায় রয়েছে এই টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সুনামগঞ্জের সকল শহীদ মিনার সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণ করা হবে। গঠন নীতিমালা অনুসারে এর সভাপতি জেলা প্রশাসক। জানা গেছে, এই নির্দেশনা কখনো মানা হয়নি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ক্ষেত্রে। মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্টের টাকায় কখনো সংস্কার হয়নি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা, স্মৃতিরক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার হচ্ছেনা এই সংগঠনের টাকা। তাই এই সংগঠনের অর্থ ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধা-জনতা। তারা অবিলম্বে এর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কথা জানিয়েছেন।
সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী বিন্দু তালুকদার বলেন, এবার একুশের ভোরে ফুল দিতে এসে জলাবদ্ধ ও অপরিষ্কার শহীদ মিনার দেখে আমাদের মনে হয়েছে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার। যাদের দায়িত্ব ছিল শহীদ মিনার সংস্কারের তারা চরম অবহেলা দেখিয়েছেন। তাদের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চাই আমরা।