1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সদর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে নূরুল হুদা মুকুট : ইমনকে বাদ দিয়ে নতুন সেক্রেটারি দেয়া হোক

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এহসান আহমেদ উজ্জ্বলকে সভাপতি ও মাজহারুল ইসলাম উকিলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করে তিন বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। তিনি জেলা আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনকে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে দলটির সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি আমাদের যার হাতে যুবলীগের দায়িত্ব ছিল, যিনি ৪-৫ বছর ধরে আহ্বায়ক ছিলেন তিনি কোনো দিন কোনো কমিটি দিতে পারেন নি। তিনি যুবলীগের নেতৃবৃন্দদেরকে তাদের সিভি জমা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সবাই উনার কাছে সিভি জমা দিলেও তিনি কমিটি দিতে পারেন নি। তিনি একজন ব্যর্থ যুবলীগার এবং ব্যর্থ আওয়ামী লিগিয়ান।
তিনি আরো বলেন, ‘এই মাঠে আ.লীগের সম্মেলন হয়েছিল। তৃণমূলের নেতারা দুইটি নাম প্রস্তাব করেছিলেন। একটি মতিউর রহমান ও অন্যটি নূরুল হুদা মুকুট। কিন্তু আমাকে বাদ দিয়ে উপর থেকে নাজিল হয়ে গেল ব্যারিস্টার ইমন। ব্যারিস্টার ইমন আজকে ১ বছর হয় আ.লীগের দায়িত্ব পেয়েছে। কিন্তু একটি মিটিংও আ.লীগের করতে পারে নাই বা কোনো কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। উনি ১৬ই ডিসেম্বরের মতো জাতীয় দিবস পালন করতে পারেন নি। ১৫ আগস্ট পালন করতে পারেন নি।
জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট আরো বলেন, ‘আমরা বিগত ১৭-১৮ বৎসর যাবৎ আ.লীগের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছিলাম তখন আমরা সবাই এক হয়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগকে নিয়ে আমরা বিরাট আনন্দ মিছিল করেছি। বিরাট জনসভা করেছি। আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় সংগঠক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে নিয়ে আমরা বার বার মিটিং করেছি। বার বার বর্ধিত সভা করেছি। কিন্তু উনি ১ বৎসর যাবৎ দায়িত্ব নেওয়ার পরে উনি নিজে লুকিয়ে থাকেন ঢাকাতে। সুনামগঞ্জে আসলে বাসা থেকে বের হন না বা আবার ঢাকায় চলে যান।
নূরুল হুদা মুকুট আরো বলেন, ‘উনি ১ বৎসরে কোনো কমিটি করতে পারেন নাই কাজেই কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই উনাকে আ.লীগ থেকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে সেক্রেটারি নিয়োগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
নূরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘সেক্রেটারি নিয়োগ হলে আবার আওয়ামী লীগ আগের মতো গর্জে উঠতে পারবে। আবার আ.লীগের অবস্থান আগের মতো হয়ে যাবে। কাজেই উনাকে বাদ দেওয়া উচিত মনে করি। ১ বছরের মধ্যে কমিটি গঠন করতে না পারলে কমিটি অটোমেটিকালি বিলুপ্ত হয়ে যায়। আমরা এবার শেখ হাসিনার সাথে দেখা করব এবং দেখা করে সুনামগঞ্জের হালচাল নিয়ে কথা বলব। আপনি ১ বৎসর যাবত যে কমিটি দিয়েছিলেন এই কমিটি কোনো ধরনের কোনো মিটিং-মিছিল করেনি, কোনো কমিটি গঠন করেনি। তাই এই ব্যর্থ কমিটি দিয়ে সুনামগঞ্জের ৫টি আসন কখনও নিতে পারবেন না। আপনি ৫টি আসন হারাবেন। কাজেই আপনি অতিশীঘ্রই সেক্রেটারিকে পরিবর্তন করেন। সেক্রেটারি পরিবর্তন করে যাকে আপনি মনোনয়ন করবেন যারা আওয়ামী লীগিয়ান, যারা আ.লীগ করে বড় হয়েছে, আ.লীগের সংগ্রামে-আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেছে। তাহলে আপনি ৫টি আসন উপহার হিসেবে পাবেন। একটা সিটের জন্য হলেও আমরা সরকার গঠন করতে নাও পারি তাই এই ৫টি আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সিট যদি পেতে চান তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আ.লীগের সেক্রেটারিকে পরিবর্তন করেন।’
নূরুল হুদা মুকুট যুবলীগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যুবলীগ হলো আ.লীগের ঐতিহ্যবাহী অঙ্গ সংগঠন। যুবলীগ কোনো চাঁদাবাজির জায়গা নয়। যুবলীগ কোন সন্ত্রাসের জায়গা নয়। যুবলীগ হলো আদর্শবান মানুষের জায়গা। যারা আদর্শ রাজনীতি করবে ও ভদ্র ব্যবহার করবে তারাই যুবলীগ করবে। যুবলীগে কোনো সন্ত্রাস মাস্তানদের জায়গা হবে না। যে কমিটি দেওয়া হবে আমি মনে করি তারা ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।’ তিনি সকল যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে সদর যুবলীগের নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানান।
সোমবার দুপুরে আয়োজিত সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করা হয়। পরে সদর যুবলীগের অকাল প্রয়াত আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন আহমেদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন নেতাকর্মীরা।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে এহসান আহমেদ উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে এবং জেলা যুবলীগের সদস্য সবুজ কান্তি দাশের পরিচালনায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ূব বখ্ত জগলুল, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাচনাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মনজুর আহমদ।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সদর যুবলীগের পূর্বের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন খায়রুল হুদা চপল। পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা যুবলীগ সদস্য সবুজ কান্তি দাশের পরিচালনায় ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলের সভাপতিত্বে শুরু হয় নতুন কমিটির গঠন প্রক্রিয়া। এসময় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ সভাপতি হিসেবে এহসান আহমেদ উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাজহারুল ইসলাম উকিলের নাম প্রস্তাব করেন। এসব পদে তাদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আগামী তিন বছরের জন্য তাদেরকে সভাপতি-সম্পাদক মনোনীত করা হয়। সদর উপজেলা যুবলীগ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম বজলু, ঝন্টু তালুকদার, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান টিপু, ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন, জেলা যুবলীগ সদস্য মঞ্জু তালুকদার, রওনক আহমদ, যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ চৌধুরী, সৈনিকলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান চৌধুরী রাসেল, সাধারণ সম্পাদক রিংকু চৌধুরী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সেলিম রেজা, জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com