সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা পাওয়ার পর আইনানুগভাবে তাদের স¤পদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে।’
শনিবার (২১ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের গোকুলদাসের বাগ এলাকায় আলহাজ্ব আমিজ উদ্দিন এতিমখানার ছাত্রদের জন্য নির্মিতব্য তিন তলা ‘সানড্রা ম্যাককারসি’ হলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে কোন পেপারস লাগবে না। পেপারস ম্যান্ডেটরি নয়। যদি সহযোদ্ধারা সাক্ষ্য দেয় এবং বলে সে ট্রেনিং নিয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে, তাহলে এটাই যথেষ্ট। মুক্তিযুদ্ধ বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। কেউ একা একা যুদ্ধ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে তা অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই হলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আসার কোন সুযোগ নেই। তারপরও যদি কোথাও বরখেলাপ হয় তাহলে সেটা বাতিল করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রত্যেক শনিবার এ কার্যক্রম চলবে। পরবর্তী পাঁচ শনিবার এই যাচাই-বাছাই চলবে। যাতে কোনো অসত্য তথ্য দেওয়া না হয়, এ জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিবেন ওই সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এক থেকে তিন বছর বন্ধ থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠে, তারা হাল আমলের নেতা। বঙ্গবন্ধুর আমলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ শুনি নাই। হাল আমলে ভাল’র মধ্যে মন্দ লোক ঢুকে গেছে। মন্দরা ধিক্কৃত হবেন।’