1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রাথমিক বিদ্যালয়: ডিজিটাল এটেন্ডেন্স মফস্বলের বিদ্যালয়ে স্থাপনের দাবি

  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
সার্বক্ষণিক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়মিত নজরদারিতে থাকলেও সুনামগঞ্জ জেলা শহরের ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে মফস্বলের যে বিদ্যালয়গুলোতে এখনো শিক্ষকরা নিয়মিত ও যথাসময়ে উপস্থিত হননা, প্যারা শিক্ষক দিয়ে চালিয়ে দেন সেসব বিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল এটেন্ডেন্স লাগানো হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষাবিদগণ। শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকগণ জানিয়েছেন, যে বিদ্যালয়গুলো তুলনামূলক দুর্গম ও শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাননা বা কর্তৃপক্ষের নজরদারির বাইরে থাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেগুলোতে ডিজিটাল স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা উচিত। তারপরে সবশেষে নজরদারিতে যেগুলো আছে সেগুলোতে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা উচিত।
জানা গেছে, গত বছর সুনামগঞ্জ জেলা শহরের ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডিজিটাল এটেন্ডেন্সের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের উদ্যোগে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সদরের মফস্বলের বিদ্যালয়গুলোতে এই মেশিন স্থাপনের জন্য প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু মফস্বলের স্কুলগুলোকে বাদ দিয়ে জেলা শহরে অবস্থিত বিদ্যালয়গুলোতেই এই মেশিন বসানো হয়েছে। এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, সদর উপজেলার পাশাপাশি অন্যান্য উপজেলায়ও সদরের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এমন বিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল এটেনডেন্স মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা গেছে, সেগুলোতেও স্থানীয় শিক্ষা অফিসের নাকের ডগায় অবস্থিত এবং সরকারের সকল দফতরের নজরদারিতে সার্বক্ষণিক থাকে এমন বিদ্যালয়গুলোতেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এবারও বাদ পড়তে যাচ্ছে মফস্বলের অবহেলিত বিদ্যালয়গুলো।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, মফস্বলের বিদ্যালয়গুলো দুর্গম হলেও এখন সকল এলাকায়ই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আছে এবং বিদ্যালয়ে দফতরিও রয়েছে। অবকাঠামোগত ব্যবস্থা থাকলেও এসব বিদ্যালয়ে নিয়মিত যাননা অনেক শিক্ষক। গেলেও তারা ১১টায় উপস্থিত হয়ে দুপুর ২টার মধ্যে চলে আসেন। অনেকে আবার প্যারা শিক্ষক দিয়েও কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। এসব এলাকার অভিভাবকরা ও সচেতন লোকজন এসব বিদ্যালয়েই ডিজিটাল এটেডেন্স মেশিন বসানোর দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সরকার প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চালু করেছে। যার ফলে কর্তৃপক্ষের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই সহজে মেশিন বসানো যায় এমন বিদ্যালয়গুলোই প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামীতে সবগুলো বিদ্যালয়ই এই মেশিন বসানো হবে।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শিক্ষানুরাগী দেওয়ান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, আমরা দাবি জানাই আগে মফস্বলের অবহেলিত বিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল এটেনডেন্স মেশিন বসানো হোক। যে বিদ্যালয়গুলো সবার নজরদারিতে থাকে সেগুলোতে পরে বসানো হোক। কারণ মফস্বলের বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার মান নানা কারণে নি¤œগামী।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল এটেনডেন্স চালুর বিষয়টি প্রশংসনীয়। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শহরের বদলে গ্রাম এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে আগে এই মেশিন বসানো উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া যাবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আমরাও চাই মফস্বলের বিদ্যালয়গুলোতে আগে ডিজিটাল মেশিন বসানো হোক। তবে প্রকল্প যেহেতু পরীক্ষামূলক আশা করি একসময়ে সব স্কুলেই এই মেশিন বসানো হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com