স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাইয়ে আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মামলা দায়েরের তিন দিন পরও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আলোচিত এই মামলার আসামিদের ধরতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলার পর থেকে প্রধান আসামি পৌর মেয়র মোশারফ মিয়াসহ অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জলমহালের তালিকা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার দিরাইয়ের জারলিয়া জলমহাল নিয়ে ইজারাদার ধনঞ্জয় দাস ও মাসুক মিয়া গ্রুপের সঙ্গে একরার হোসেনের লোকজনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জন নিহত হয়। এ ঘটনায় একরার হোসেন বাদী হয়ে পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন, দিরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়সহ ৩৯জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ধনঞ্জয় দাসও জলমহাল লুটপাটের অভিযোগে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
তবে আলোচনায় থাকা ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামিদের তিন দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলায় দিরাইয়ের আলোচিত সরকার দলীয় তিন নেতা থাকায় বাদি মামলার তদন্ত নিয়ে সন্দিহান।
পুলিশ সূত্র বলছে, আলোচিত ট্রিপল মার্ডার নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ সক্রিয়। মামলা দায়ের করতে দেরি হওয়ায় সন্দেহভাজন আসামিরা আগেই পালিয়ে যায়। মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। প্রভাবশালী হলেও যে কোন মূল্যে মামলার আসামিদের ধরতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে জলমহাল দখল নিয়ে বার বার সংঘর্ষের ঘটনায় চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন। সংঘর্ষের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অবনতি ঘটছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জেলা পুলিশ থেকে প্রত্যেক থানায় জলমহালের সংখ্যা ও বিরোধপূর্ণ জলমহালের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
দিরাই থানার ওসি আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আসামি যেই হোক না কেন তাকে গ্রেফতার করা হবে।