1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে : প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান

  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭
????

হোসাইন আহমদ ::
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শের একজন সৈনিক। যারা বিএনপি জামায়াতের দোসর হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের শত্রু। এরা আওয়ামী লীগের শত্রু। সুনামগঞ্জে বসে মতিউর বলে আমার চাকরি নাকি বঙ্গবন্ধু দেন নাই, জিয়াউর রহমান দিয়েছে। মিথ্যাবাদী। মিথ্যাবাদীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। কিছু নেতা আছে যারা আমার সম্পর্কে না জেনে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুরের মানুষ আমাকে সম্মানিত করেছে। যাদের কারণে আমি সম্মানিত হয়েছি। তাদের কাছে এসে প্রকাশ্যে জনসভায় ক্ষমা প্রার্থনা করুক। সাধারণ জনগণ যদি ক্ষমা করে তাহলে আমি কিছুই করবো না।
শনিবার বিকেলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে জেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত ৭, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ৭, ৮,৯ ও ১০,১১,১২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যা ও দক্ষিণ সুনামঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্য ও সদস্যাদের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান।
প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান আরো বলেন, যিনি সাধারণভাবে নির্বাচিত না হয়ে উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে শুধুমাত্র কালভার্ট নির্মাণ করে আমাকে বলছেন আমি নাকি উন্নয়ন করিনি। আমি নাকি সুনামগঞ্জে একটি ইটও লাগাইনি। তিনি বলেন, আপনারা সুনামগঞ্জের ভাগ্যে নিয়ে আর খেলবেন না। অনেক উন্নয়ন থেকে সুনামগঞ্জকে বঞ্চিত করেছেন। বিগত ৮ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে ১৪টি সেতু নির্মাণ, ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুশিয়ারা নদীর উপর রানীগঞ্জ সেতু নির্মাণ করছি শেষ পর্যন্ত ঐ সেতুর বাজেট ২০০ কোটি টাকা গিয়ে দাঁড়াবে। এই রাণীগঞ্জ সেতু বিএনপি সরকার চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি মান্নান প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে সেই সেতুর কাজ শুরু করি। সুনামগঞ্জ সুরমা সেতুর অসমাপ্ত কাজ আমি সমাপ্ত করেছি। নিজের কাছে লজ্জা লাগে উন্নয়নের কথা বলতে। আমি তো সরকারের টাকায় নিজের নামে কোন প্রতিষ্ঠান করিনি। ইট-বালু-পাথর-জলমহাল খেতে রাজনীতিতে আসিনি। আপনাদের কথা দিয়েছিলাম, আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করবো।
এমএ মান্নান বলেন, তারা বলে আমি নাকি রাজনীতি বুঝি না। সারা জীবন আমলা ছিলাম। আমি নাকি আওয়ামী লীগের না। আপনার জানেন, কে মিজান লীগ ছিল, আমি কি তাদের নাম বলবো। কারা মোস্তাকের অনুসারী ছিল। আমি তো দল বদলাই না। যে দলে আছি আমৃত্যু ঐ দলে থাকবো। অনেকেই আছেন আজ এই দলে, কাল ঐ দলে।
এমএ মান্নান বলেন, তারা সুনামগঞ্জে বসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছে, আমি নাকি ৭১ সালে পাকিস্তানে ছিলাম। জননেত্রী শেখ হাসিনা জানেন। আমার পাড়া-প্রতিবেশী এই এলাকার জনগণ জানেন, আমি কোথায় ছিলাম। সরকারি ফাইলে আমার নাম আছে। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ৪ বছর লেখাপড়া করার জন্য পাকিস্তানে ছিলাম। ১৯৭০ সালে সিভিল সার্ভিস (ইপিসিএস) পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেছিলাম। সেই সময়ে কমিশনার পদে দেশের অনেকেই চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষার মাধ্যমে সারাদেশের মধ্যে আমি প্রথম স্থান লাভ করি এবং যারা উত্তীর্ণ হয়েছিলাম কারো চাকরি হয়নি। ১৯৭১ সালে শুরু হল মহান মুক্তিযুদ্ধ। সেই সময় আমি আমার গ্রামেই ছিলাম। আপনারাই আমার প্রত্যক্ষদর্শী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কমিশনার পদে যারা পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছিলাম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২৮ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ৬০ জন অফিসারের পক্ষ থেকে আমি তখন সৎ সাহস নিয়ে, অনেক অপেক্ষা করতে করতে, রাত ১১টায় বঙ্গবন্ধুর বাসায় প্রবেশের অনুমতি পাই। ভেতরে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুর পিএস বর্তমান সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর পিতা রফিক উল্লাহ চৌধুরী’র সাথে দেখা হয়। তিনি আমাকে বসতে বলেন। কিছুক্ষণ পরে আমাকে তিনি বলেন, উপরের তলায় যাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু আমাকে ডেকেছেন। আমি তখন, সেই কাঠের সিঁড়ি বেয়ে দু’তলায় উঠি। ছোট্ট একটি কক্ষে তখন বঙ্গবন্ধু থাকতেন। আমি সেই কক্ষে প্রবেশ করে দেখি আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পাশে বতর্মান বাণিজ্য মন্ত্রী তখনকার ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমদ ও অন্যপাশে ছিলেন মরহুম শ্রমিক নেতা (নোয়াখালী বাড়ি) নুরুল হক। বঙ্গবন্ধু আমাকে দেখে বললেন কি? তুমি কিসের জন্য এসেছ? আমি তখন বলি স্যার আমি গ্রামের এক গরিব পিতার সন্তান, আমি সহ অনেকেই চাকরির জন্য ৭০ সালে পরীক্ষা দিয়ে ৬০ জন পাস করেছি। কিন্তু আমাদের চাকরি হয়নি। বঙ্গবন্ধু বলে উঠেন, তোমাদের মত শিক্ষিত ছেলেদেরই এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জন্য দরকার। যাও আমি দেখছি কী করা যায়। কোন চিন্তা করো না। তোমাদের চাকরি হয়ে যাবে। পরে ১৯৭৪ সালে আমাদের চাকরি হয়। সেই চাকরির নিয়োগপত্র, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরসহ কাগজ আমার কাছে আছে ও সরকারের কাছে আছে। দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার সেই কাগজপত্র আছে। শেখ হাসিনা জানেন আমি কেমন মানুষ, সরকারের টাকা লুটে-পুটে খাচ্ছি নাকি দেশের উন্নয়ন করছি? আব্দুস সামাদ আজাদ যখন অসুস্থ ছিলেন অনেকেই দেখতে যান নাই। আমি ২-৩ বার গিয়েছি। আমিতো কোন দিন বলি নাই।
প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, মতিউর বলছেন আমি নাকি রাবার ড্যাম্প উদ্বোধনের জন্য তার অনুরোধে গিয়েছি। সে মনে করেছিল কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে দিয়ে উদ্বোধন করাবে। কিন্তু আমি কৃষিমন্ত্রীর ২-৩ বারের অনুরোধে উদ্বোধন করেছি। ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছি। তিনি সবকিছু বাইচান্স পেতে চায়। আমার সম্পর্কে না জেনে জনসভা করে যারা মিথ্যা অপপ্রচার ও কটূক্তি করে যাচ্ছে। কোন মামলা মোকদ্দমায় জড়াইনি, কোর্টে যাইনি, বাদী বিবাদী হইনি। এবার হবো। আমি অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করিনি। আগামীতেও করবো না। আপনাদের সন্তান, আপনাদের সেবা করার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। আমার কোন সম্পত্তির প্রয়োজন নাই। আপনাদের ভালবাসা নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটিয়ে যাবো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাড. বোরহান উদ্দিন দোলনের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক নুর হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য মাহতাবুল হাসান সমুজ, জহিরুল ইসলাম, সদস্যা শামিমা সুলতানা হালিমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী তহুর আলী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাছিত সুজন, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএম সাজ্জাদুর রহমান, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ আমিন, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নুর কালাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুক মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি রিপন তালুকদার, জুবেল আহমদ, রাজা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুজন, যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি’র ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (রাজনৈতিক) হাসনাত হোসেন, জুয়েল আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, নুর আহমদ, উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ সম্পাদক শাকির আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুর আলম, ধর্ম সম্পাদক রোশন আলী, সহ সম্পাদক জুসেন আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা ছদরুল আহমদ, রয়েল আহমদ, আল-মাহমুদ সুহেল, এমরান হোসেন, আলী শাহান, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com