স্টাফ রিপোর্টার ::
সম্মেলনের ৬ দিন পর গত শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নতুন প্রায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় ৮১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৭৪ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে সুনামগঞ্জের চার শীর্ষনেতা এমএ মান্নান এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, আজিজুস সামাদ ডন ও ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের নাম নেই। একমাত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শীর্ষনেতাদের নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল জল্পনা-কল্পনা। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকও ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদপ্রত্যাশী। বার বার জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত মুহিবুর রহমান মানিককে নিয়ে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত।
দেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডন এবারের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চমক দেখাবেন এমন আশা ছিল তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তিনিও নিজে আশাবাদী ছিলেন ভাল কোন পদ পাবার ব্যাপারে। মাঠে ময়দানে সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু এমপি মানিকের মতো তাঁর ভাগ্যে জুটেনি কোন পদ। ডনের অনুসারীরা মনে করেছিলেন, তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়ে মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদের অবদানকে মূল্যায়ন করা হবে।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি, অর্থ এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান গত কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন কার্যকরী সদস্য। এবার জেলার নেতাকর্মীরা মনে করেছিলেন কোষাধ্যক্ষ পদটি তিনিই পাবেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনও ছিলেন সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদপ্রত্যাশী। কিন্তু সর্বশেষ ঘোষিত কমিটিতে তাঁরও স্থান হয়নি।
তবে এখনও তিনটি স¤পাদকীয়, একটি উপস¤পাদকীয় ও তিনটি সভাপতিমন্ডলীর পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। এগুলোর কোনওটিতে এসব নেতাদের কেউ জায়গা পান কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।