হাসান বশির ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের পুনঃনির্বাচন এখন আ.লীগ – জাপা’র মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে আগামীকাল সোমবার ভোটযুদ্ধে মাঠে নামছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নির্বাচনী ময়দানে তৎপর রয়েছেন।
জানা যায়, যদিও শনিবার ছিল প্রচারণার শেষ দিন। তবু মর্যাদার লড়াইয়ে টিকে থাকতে ভোটগ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত চলতে পারে প্রচারণা। সেই সাথে কলোটাকার ছড়াছড়ি হতে পারে বলে অনেক ভোটার আশঙ্কা করেছেন।
গত ৪ জুন এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী নির্বাচিত হলেও বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপি’র জাতীয়পার্টির প্রার্থী এরশাদ মিয়া, আ.লীগ প্রার্থী আব্দুল গণি প্রত্যেকেই ৪হাজার ৩০ভোট করে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থীকেই বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই ৩১ অক্টোবর এই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ৪জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র একটিতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হয়। বাকি ৩টির দু’টিতে আ.লীগ বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয় ছিনিয়ে নেন এবং এই ৩টিতে বিপুল ভোটে পরাজিত হন নৌকার টিকিটপ্রাপ্তরা। জাতীয়পার্টির প্রার্থী থাকলেও জয় পায়নি একটিতেও, তাই জাতীয়পার্টি চায় আ.লীগের মতো অন্তত একটিতে জয়ী হতে। আর আ.লীগ চায় অবস্থান শক্তিশালী করতে।
শনিবার সকালে বাদাঘাট দ.ইউপির জলিলপুর গ্রামের আশরাফ আলী বলেন, এখানে এমপি পীর মিসবাহ অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাই এ ধারা অব্যাহত রাখতে জাপা প্রার্থী এরশাদকেই আমরা ভোট দেব।
জাপা প্রার্থী’র সমর্থক নতুন বাঘামারা গ্রামের আলমগীর ও ভাটিপাড়া গ্রামের অঞ্জন পাল, পুরান বাঘমারা গ্রামের হোসেন মিয়া বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আ.লীগ প্রার্থী ধরাশায়ী হবে।
যুবলীগ নেতা লুৎফুর রহমান নাঈম বলেন, এই নির্বাচনে আ.লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় পাবে।
ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আ.লীগ প্রার্থীরই বিজয় হবে।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ প্রার্থী আব্দুল গণি ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী এরশাদ মিয়া উভয়ই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।