ছাতক প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাংলাদেশের রাজনীতির দুই দিকপাল। বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস তাদেরকে বাদ দিয়ে লিখা যাবে না। তাঁরা আমাদের চেতনার বাতিঘর। সুনামগঞ্জের এ দুই প্রাণপুরুষের স্মৃতি চিরঅম্লান রাখতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যারা সামাদ এবং সুরঞ্জিতের রক্ত, শ্রম, ঘামে সাজানো বাগানে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন এবং এই মহান নেতাদের অবদান অস্বীকার করছেন, ভাটির মানুষ কোনো দিন তাদেরকে ক্ষমা করবে না। তাদের সাজানো বাগান আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। পাগলা-রাণীগঞ্জ সড়ক বাস্তবায়নে আব্দুস সামাদ আজাদ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। রানীগঞ্জ সেতু সামাদ আজাদের নামে নামকরণ করলে এই ঋণ কিছুটা লাঘব হবে।
শনিবার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলাবিশিষ্ট সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এমপি মানিক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জকে সমান চোখে দেখেন। তাই তিনি আমাদের হাওরাঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাঁর উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চালাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হাওরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার উপহার।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌলশী নজরুল হাকিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ার্যমান লিপি বেগম।
এইচ এম আরজ আলী ও মিজানুর রহমান রাসেলের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাতগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাদ হোসেন মাস্টার, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান সুন্দর আলী, নিজাম উদ্দিন, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজর আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ।
উল্লেখ্য, এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের প্রচেষ্টায় ছাতক-দোয়ারায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. হারিস আলীর নামে জাউয়া ডিগ্রি কলেজের ভবনের নামকরণ, গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে লুৎফুর রহাম সরকুম ভবন, কালারুকা করম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক ¯পীকার হুায়ুন রশিদ চৌধুরীর নামে ভবনের নামকরণ করা হয়েছে।