মাননীয় প্রাণপ্রিয় নেত্রী,
প্রথমেই আমার এবং আমার প্রিয় সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনম্র সালাম ও শুভেচ্ছা জানাই। আমি স্বদেশপ্রেমী কতটুকু তা সঠিক বলতে পারবো না। তবে আমার ভেতর দেশপ্রেম আছে, ভালোবাসা আছে কিছু পরিমাণ হলেও। কারণ আমি স্বাধীন বাংলাদেশের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রেমি, মুজিব ভক্ত এবং এক মুজিব সেনা।
মাননীয় নেত্রী,
আমি ২০০৩ সালে সুনামগঞ্জ জেলার রাজপথে, তৎকালীন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক জনাব নূরুল হুদা মুকুট ভাইয়ের হাত ধরে বিএনপি-জামায়াতবিরোধী মিছিলে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে যাত্রা শুরু করি। এখন ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস। ছাত্র রাজনীতিতে প্রায় ১৪ বছর অতিবাহিত। পড়াশোনা সফলভাবে সমাপ্ত করার চেষ্টা এখন শুধু মরীচিকার পেছনে দৌড়ানোর মতো মনে হয়।
মাননীয় নেত্রী,
আমার মার্কা নৌকা। নৌকার তৃণমূল এক কর্মী হিসেবে, বিএনপি-জামায়াত এবং ওয়ান-ইলেভেনের মত দুঃসময়েও কর্মী ছিলাম। আমার মতো আরো হাজারো কর্মী ছিল। বর্তমানে দলের সুসময় চলছে। “হাইব্রিড নবীন কর্মীরা” নেতা হচ্ছে। আমার মতো অভাগারা, তৃণমূল কর্মীরা, কর্মী হিসাবে আজও দলের সাথে আছে।
মাননীয় নেত্রী,
“রাজনীতি” জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক। রাজনীতি থেকে পাওয়া “জীবন-জীবিকার” খাতায় শূন্য। সরকারি দলের কর্মী হিসেবে, আমার চলাফেরা এবং জীবনযাত্রার মান খুবই নিম্ন। সকালে বের হই, রাতের আঁধারে বাসায় যাই। এভাবেই চলে আমার মতো অনেক নৌকা মার্কার তৃণমূল কর্মীদের প্রতিদিনের জীবন।
মাননীয় নেত্রী,
‘নৌকা এবং বঙ্গবন্ধু’ আমার রক্ত মিশে আছে। মানবতার নেত্রী তারপরও বলতে চাই, আর কতদিন সকালে না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হবে, আর কতদিন হেঁটে হেঁটে দলীয় প্রোগ্রামে, আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে হবে। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যদি ‘তৃণমূল কর্মীদের’ অবহেলা করেন, কর্মীদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা না করেন, তাহলে অচিরেই অনেক মুজিব সেনা হারিয়ে যাবে অন্ধকারে। হয়তোবা মন থেকে বিদায় জানাবে বা বাধ্য হবে ‘দেশের জন্য-মানুষের জন্য কাজ’ করার উৎকৃষ্ট মাধ্যম “রাজনীতি”-কে। শুধু থেকে যাবে, রয়ে যাবে, “রক্তে মিশে থাকা বঙ্গবন্ধু” নামক মুজিব সৈনিক স্বদেশপ্রেমীরা।
– সামিয়ান তাজুল
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।