স্টাফ রিপোর্টার ::
গত ৭ মে উদ্বোধনের পর সুনামগঞ্জে মাত্র তিনটি উপজেলায় মাত্র ৪৫ টন বোরো ধান সংগ্রহ হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর, জগন্নাথপুর ও শাল্লায় কিছু ধান সংগ্রহ করা গেলেও ৯টি উপজেলায় এখনো এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করা যায়নি। সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের বিড়ম্বনা এবং যোগাযোগ দুর্গম হওয়ায় ধান দিতে কৃষকদের অনীহা লক্ষ করা গেছে। তাছাড়া বাইরের জেলার পাইকাররা ইতোমধ্যে অল্পদামে ধান কেনা শুরু করায় কৃষকদের হাতেও ধান কমে আসছে।
সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার ৫ হাজার ৮২৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ১২শ টাকা মণ দরে ১৭ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে। গতকাল ১১ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৮ টন, জগন্নাথপুরে ১৫ টন এবং দিরাইয়ে ১২ টন ধান সংগ্রহ করা গেছে। দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুরে ধান বিক্রয় করতে আগ্রহী কৃষকদের তালিকা সম্পন্ন করা হলেও বাকি ৯টি উপজেলায় এখনো কৃষকদের তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। তাছাড়া এবার শান্তিগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশা, জগন্নাথপুর, ছাতক ও মধ্যনগর উপজেলায় ম্যানুয়ালি কৃষককদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা যাবে। বাকি উপজেলাগুলো থেকে অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনের প্রেক্ষিতে লটারির মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা।
দিরাই উপজেলার কৃষক নেতা অমর চাঁন দাস বলেন, কৃষকদের ধান জেলার ও বাইরের দাদন ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছে অল্প মূল্যে। তাছাড়া দুর্গম যাতায়াত, বিক্রয়কেন্দ্র দূরে থাকায় গুদামে গিয়ে ধান বিক্রি করতে কৃষকরা আগ্রহী নন। তাদের অনেকে ধান দিতে গিয়ে গুণাগুণ বিচারের নামে হয়রানির শিকারও হন। এ কারণে কৃষক পর্যায়ে ধান দিতে আগ্রহ কম। তবে এক শ্রেণির ফড়িয়ারা কৃষকদের কার্ড হাতে নিয়ে সুবিধা গ্রহণ করে এমন অভিযোগ আছে।
সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. নজরুল ইসলাম ভূঞা বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরুর পর গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৫ মে.টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনটি উপজেলার কৃষকদের তালিকা চূড়ান্ত হলেও বাকিগুলো চূড়ান্তের কাজ চলছে। লটারির মাধ্যমে কৃষক বাছাই করে ধান নেওয়া হবে। তবে কৃষক যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে আমাদের খেয়াল রয়েছে।