স্টাফ রিপোর্টার ::
নাব্যতা সংকটের কারণে তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌ-জটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌ মালিক, চালক ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পাটলাই নদীর বাঁশচাতল (মহালিয়া হাওরের পাড়) থেকে বোয়ালমারা পর্যন্ত চুনাপাথর ও কয়লা বোঝাই তিন শতাধিক নৌযান আটকে আছে। এসব চুনাপাথর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া ও বাগলী শুল্কস্টেশন দিয়ে ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে আমদানি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করেন।
শফিকুল ইসলাম নামে নৌযান চালক বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় আমার নৌকা আটকে গেছে। এতে আমার খরচ বাড়ছে, সময় ক্ষেপন হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছতে না পারলে ইটভাটা কয়লা সংকটে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা আইনাল মিয়া জানান, পাটলাই নদীটি সুলেমানপুর বাজার সংলগ্ন বাঁশচাতল থেকে কানামুইয়া বিল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা। উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টেকেরঘাট থেকে মন্দিয়াতা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা খনন করলে নাব্যতা সংকট কেটে যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে। সরকারের রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে। আর কৃষিকাজসহ নদী তীরবর্তী মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটবে পাশাপাশি হাওরও সুরক্ষা পাবে।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, পাটলাই নদীতে নৌ-জট কমাতে নৌ শ্রমিক মালিকদের নিরাপত্তায় সহযোগিতা করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)পদ্মাসন সিংহ বলেন, নদীর পানি কমে যাবার কারণে এখানে খনন কাজ চলমান রয়েছে। খনন কাজ সম্পন্ন হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব) ফজলুর রশিদ জানান, সুনামগঞ্জে নদী খননের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ অচিরেই শুরু হবে। এটি শুরু হলে নাব্যতা সংকটে থাকা নদীগুলোর আর সমস্যা থাকবে না।