স্টাফ রিপোর্টার ::
মৌসুম আসতে না আসতেই জেলার বিভিন্ন বিল-জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। একের পর এক জলমহালে ড্রাই ফিশিংয়ের প্রস্তুতি স¤পন্ন করে নিয়েছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগী পরোক্ষ ইজারাদাররা। জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের পূর্বাংশে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে চাটুয়া গ্রুপ জলমহালের অন্তর্গত ঘইন্যার বিলে পাওয়ার পাম্প লাগিয়ে বিলের পানি শুকিয়ে নিচ্ছেন ঐ জলমহালের সাব ইজারাদার। উক্ত চাটুয়া গ্রুপ জলমহালটি চলতি বাংলা সন হতে জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা পায় জামালগঞ্জ উপজেলার সমবায় দপ্তর আওতাধীন মাতারগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। ইজারা প্রাপ্ত হবার পর এই সমিতির লোকজন জলমহালটি অপেশাদার মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে বেশি মূল্যে বাৎসরিক সাব ইজারায় বিক্রি করে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জলমহালটি ইতিমধ্যে কয়েক গ্রুপ থেকে হাতবদল হয়ে ১৩লাখ টাকার বিনিময়ে একবছরের জন্য বর্তমানে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের বিছনা গ্রামের রফিক মিয়া ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের কাঁঠলিয়া গ্রামের শফিক মিয়া গংয়ের দখলে আছে। তারাই জলমহালের ড্রাই ফিশিংয়ের কাজে পাওয়ার পা¤প বসিয়ে পানি শুকাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মাতারগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি পিযুষ কান্তি তালুকদার জানান, জলমহালটি তারা মৎস্য আহরণের স্বার্থে দ্বিতীয় পক্ষকে লিখিত চুক্তিতে ভাগীনামায় দিয়েছেন। তবে তলা শুকিয়ে ড্রাই ফিশিং করে মাছ ধরার পক্ষপাতী তিনি নন।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনন্দা মোদক বলেন, তিনি ড্রাই ফিশিংয়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।