সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চলবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। যারাই দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে অয়োজিত ‘কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সামজিক যোগাযোগমাধ্যম’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) যাদের সন্দেহ করেছেন, অ্যারেস্ট হয়েছে। সামনে আরও অ্যারেস্ট হবে। এটা কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, যে অপরাধী – তাকেই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এটা সরকারের ইচ্ছা। সরকার এ ব্যাপারে সংকল্প বদ্ধ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে।
‘ভারতের সঙ্গে অসাংবিধানিক চুক্তি আড়াল করতেই স¤্রাটকে গ্রেফতারের নাটক করছে সরকার’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নেতিবাচক নোংরা রাজনীতি। নোংরা রাজনীতির কারণে বিএনপি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। ক্রমেই তারা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। ভাবসাব দেখে মনে হয় রংপুরে বিশাল জয় পেয়ে যাবেন তারা। এত জনপ্রিয় দল আপনারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় পর ভোটার উপস্থিতি কেনো কম হলো, মির্জা ফখরুল সাহেব কি জবাব দেবেন।
তিনি আরও বলেন, সাতটা সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তিনটা প্রজেক্টের উদ্বোধন হয়েছে। কোথায় কোন লাইনে, কোন অংশে অসাংবিধানিক কিছু আছে, অগণতান্ত্রিক কিছু আছে এটা তথ্য-প্রমাণসহ মির্জা ফখরুল সাহেব আপনাকে দেখাতে হবে। অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে গেলেই আগে বলতেন দেশ বিক্রি হয়ে গেছে। এখন শুরু করেছেন সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। চুক্তি করলে আগে বলতেন গোলামীর চুক্তি হয়েছে। মেমোরেন্ডাম কোনো চুক্তি নয়। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় এটাও ভুলে গেছেন। মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং কোনো লিখিত চুক্তি নয়। মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং চুক্তি বলে, অসাংবিধানিক চুক্তি। এখানে সংবিধান কোথায় লঙ্ঘন হয়েছে, গণতন্ত্রের সূচিতা কোথায় নষ্ট হয়েছে মির্জা ফখরুল এই প্রশ্নের জবাব দেবেন কি?