স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পে দরিদ্রের নাম দিয়ে ধনীর ভিটায় ঘর নির্মাণের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগে সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণে উপকারভোগীদের প্রাথমিক তালিকায় বাহারা ইউনিয়নে ১৭টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের মৃত নূর ইসলামের স্ত্রী মমিনা বেগমের নাম প্রাথমিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু তার ভাইপো হুমায়ূন মিয়া ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা মূল্যমানের এই ঘর নির্মাণের জন্য তার ফুফু মমিনার নামে নিজের বাড়িতে তৈরির চেষ্টা করেন। এই খবর লোক মারফত জানতে পেরে মমিনা প্রতিবাদ করলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামকে ম্যানেজ করে হুমায়ূনের চাচী হোসনা বেগমের নামে নতুন করে তালিকাভুক্ত করান। এখন হুমায়ূনের ভিটায় ওই ঘর তৈরির চেষ্টা চলছে। এদিকে ওই ভুক্তভোগী নারী গত ৩ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূনকে নিয়ে দ্রুত হুমায়ূনের চাচীর নামে হুমায়ূনের দেওয়া দানকৃত জায়গার রেজিস্ট্রির তৎপরতা শুরু করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই হোসনার নামে জায়গা রেজিস্ট্রি হবে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী মমিনা বেগম বলেন, আমার নামে প্রথমে আমার ভাইপো বরাদ্দ নিয়ে তার ভিটায় ঘর বানাতে চেয়েছিল। আমি বাধা দেওয়ায় সে তার চাচীর নামে তার জায়গায়ই ঘর বানাতে চাচ্ছে। এ ঘটনায় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ সঠিক নেই। তবে হোসনা বেগমের নামে রেজিস্ট্রিকৃত জায়গা নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, হুমায়ূন তার চাচীর নামে আজ-কালের মধ্যে জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিবেন। তারপরে আমরা ঘর বানিয়ে দেব।