শাল্লা প্রতিনিধি ::
বাংলাদেশ অখ-ম-লী শাল্লা উপজেলা শাখার আয়োজনে চরিত্র গঠন বিষয়ে এক ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তারপুর অখ-ম-লীর পরিচালক শংকর ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ও হবিগঞ্জ জেলার মিরপুর অখ-ম-লীর সদস্য প্রদীপ সূত্রধরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাহাড়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান রামানন্দ দাস, সাহিত্যিক রবীন্দ্র চন্দ্র দাস, প্রভাষক প্রণব কান্তি সরকার, শাল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেন, অখ- ম-লীর সদস্য বিকাশ চৌধুরী, স্বরূপ তালুকদার, সাগর চন্দ্র দাস প্রমুখ। পরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বরূপানন্দ সঙ্গীত পরিবেশন করেন হেনা রাণী দাস, প্রদীপ সূত্রধর, শ্রাবণ কান্তি দে প্রমুখ শিল্পীবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অখ- সংগঠন বা অযাচক আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব ১৯১৪ সালে চাঁদপুর শহরের অদূরে অধুনালুপ্ত ঘোরামারার মাঠে ‘চরিত্র গঠন আন্দোলনে’র জন্ম দেন। তিনি তৎকালীন সময়ে বিশাল জনতার সম্মুখে ভাষণে বলেছিলেন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে চরিত্র। মানুষের চরিত্রকে বিকশিত করার লক্ষ্যে তিনি ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে ভাষণ প্রদান করে গেছেন। স্বামী স্বরূপানন্দ চরিত্রগঠন আন্দোলনের ¯্রষ্টা। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একধারে কৃষিবিদ, সঙ্গীত বিশারদ, দার্শনিক, অসাম্প্রদায়িক ধর্ম প্রচারক, কর্মবীর ও অসংখ্য গানে গীতিকার। তিনি সারা জীবন মানুষের সেবা করে গেছেন।
বক্তারা বলেন, হিন্দু সমাজে প্রচলিত মূর্তি পূজাকে প্রধান্য না দিয়ে স্বরূপানন্দ মানুষের চরিত্রগঠনের উপর জোর দিয়ে গঠন করেন অযাচক আশ্রম। নিরাকার ব্রহ্ম উপাসনা করতে তাঁর ভক্তদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন। সারাবিশ্বে তাঁর প্রতিষ্ঠিত শতাধিক অযাচক আশ্রম ও হাজারো অখ-ম-লী রয়েছে। প্রতি শাল্লা উপজেলার মুক্তাপুর গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পালিত হলো অখ- উৎসব। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় অখ- সংগীত পরিবেশন করা হয়।