আকরাম উদ্দিন ::
সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কের বেহাল অবস্থা। এ সড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটারজুড়ে ঢালাই উঠে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্তের। সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রতিদিন সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার লাখো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ সড়কের মেঝে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত থাকায় প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে রড ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। জরুরিভিত্তিতে সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মুহাম্মদপুর পয়েন্ট ব্রিজের আশপাশ এলাকার সড়ক, হাঁস প্রজনন কেন্দ্র হ্যাচারীর পার্শ্ববর্তী সড়কের ডাকুয়াখালি ব্রিজের উভয় পাশের সড়ক, আছপিয়ানগর, বদিপুর, ব্রাহ্মণগাঁও স্কুলের পাশের সড়ক, হাশিমপুর এলাকার সড়ক, মান্নারগাঁও, ধনপুর, জলালপুর, ঢুলপশী, হাজারীগাঁও ও কাটাখালি বাজার এলাকার সড়ক এখন যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের মাঝে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। বেশিরভাগ স্থানে ঢালাই ভেঙে রড ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। গাড়ি চলাচলের সময় ঝাঁকুনিতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আশপাশের এলাকা।
এলাকাবাসী জানান, এ সড়কে গাড়িতে চলাচলের সময় বয়স্ক মানুষ, শিশু, রোগী, গর্ভবতী মহিলারা মারাত্মকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সড়কে চলাচলের সময় হৃদরোগে আক্রান্তদের মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়।
প্রতিদিন তিন উপজেলার লোকজন উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এ ভাঙা সড়ক দিয়ে লেগুনা, সিএনজি, মটরবাইক চলাচল করে থাকে। ভাঙা সড়কে যেমন ভোগান্তি বেড়েছে, তেমনি অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ বহন করতে হচ্ছে চলাচলকারীদের।
সড়কে চলাচলকারী সিএনজি’র চালক আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি সুনামগঞ্জ শহর থেকে আমবাড়ি-কাটাখালি-ছাতক সড়কে গাড়ি চালাই। ছাতক গিয়ে একবার গাড়ি মেরামত করি। আবার ছাতক থেকে সুনামগঞ্জে ফিরে গাড়ি মেরামত করি। ভাঙা সড়ক মেরামত না করলে কয়েকদিন পর ছোট গাড়ি চালানোও সম্ভব হবে না।’
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা মহি উদ্দিন বলেন, ‘এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙা থাকায় মানুষ গাড়িতে যাতায়াত করেন ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন জরুরি প্রয়োজনে তিন উপজেলার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। সড়কের ধুলায় মানুষের নানা রোগ হচ্ছে।’
জলালপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমবাড়ি থেকে হাজারীগাঁও পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে একজন মানুষ একবার চলাচল করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা এ সড়কের। জরুরিভিত্তিতে সড়কের সংস্কার প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।