মোসাইদ রাহাত ::
বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম। যতই দিন যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম লাগামহীন হচ্ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ প্রতি কেজি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। মাঝে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও হঠাৎ করে আবার বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীসহ ক্রেতারা।
সোমবার সুনামগঞ্জ শহরে পেঁয়াজের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে জানা যায়, কয়েকদিন আগে পাইকারি বাজারের যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে এখন তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। এই পেঁয়াজগুলোই গেল সেপ্টেম্বর মাসে বিক্রি করা হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে।
এদিকে, খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম চড়া। প্রতি কেজি বড় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে ও ছোট পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। তাছাড়া বাজারে দেশী পেঁয়াজ একদম নেই বললেই চলে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা নিয়তি রায় বলেন, পেঁয়াজের দামতো দিন দিন বাড়ছেই। এখন মনে হয় পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের এতো দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনা দুষ্কর।
পাইকারি বাজারে পেয়াজ কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী রিয়াদ মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে পেঁয়াজ নিছি কিছুটা কম দামে। এখন আবার দেখি পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি। এখানে যদি দাম বেশি হয় তাহলে আমরা নিয়ে বিক্রি করব কিভাবে।
ক্রেতা ইমামুল হোসেন মখফুর বলেন, ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনলাম। দামতো কমার বদলে শুধুই বাড়তেই আছে। প্রশাসনের প্রয়োজন তা মনিটরিং করা।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কিবরিয়া আহমেদ বলেন, আমরা দাম বাড়াতে চাই না। আমাদেরকে পেঁয়াজ কিনতে হয় বস্তা প্রতি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে। সারাদেশেই পেঁয়াজের দাম বেশি।
আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সুধাংশু তালুকদার বলেন, দেশীয় পেঁয়াজ নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। তাই পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম খুবই শীঘ্রই কমবে।