মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুরে মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে হাজারো মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর পৌর শহরের সুইচ গেইট এলাকা থেকে পশ্চিম দিকে স্থানীয় আলখানা নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত অবহেলিত আলখানার পাড় গ্রাম। এ গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করছেন। গ্রামটি দুইভাগে বিভক্ত। গ্রামের প্রায় এক কিলোটার রাস্তা হচ্ছে জগন্নাথপুর পৌরসভার অধীনে ও আরেক অংশের এক কিলোমিটার রাস্তা হচ্ছে কলকলিয়া ইউনিয়নের অধীনে। মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে যুগযুগ ধরে কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। আলখানা নদীর পার দিয়ে রাস্তাটির অবস্থান। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে রাস্তাটি প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার কয়েকটি স্থানে ছোট-বড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ভাঙনে বাঁশের সাকো দিয়ে মানুষ চলাচল করছেন। তবে রাস্তাটি কাদা মাটিতে পরিণত হয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে অনেক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীসহ গ্রামবাসী।
আলখানার পাড় গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বেলাল, আনর মিয়া, আনোয়ার হোসেন, নুর উদ্দিন, শামসুল ইসলাম, ফরুক মিয়া সহ অনেকে জানান, মাত্র ২ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে আমরা গ্রামবাসী যুগযুগ ধরে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছি। কেউ আমাদের রাস্তাটি মেরামত করতে এগিয়ে আসছে না। হাজারো মানুষের ভোগান্তি লাঘবে রাস্তার নদীর দিকে গার্ডওয়াল দিয়ে দ্রুত মাটি ভরাট করে মেরামত করতে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। নদীতে গার্ডওয়াল না দিয়ে মাটি ভরাট করলে বৃষ্টিতে ভিজে কাদা হয়ে রাস্তা ভেঙে মাটিগুলো আবার নদীতে গিয়ে পড়ে যাবে।
কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল হাসিম জানান, আলখানার পাড় গ্রামে অবস্থিত আমার ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ অচিরেই শুরু হবে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আবদুল মনাফ বলেন, এবার বন্যায় পৌর এলাকার অন্যান্য রাস্তার সাথে আলখানার পাড় গ্রামের রাস্তাটিও ভেঙে গেছে। যে কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। তবে রাস্তাগুলোর মাটি ভরাটসহ মেরামত কাজ করতে আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।