সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ব্যাংক আমানতের ওপর প্রস্তাবিত আবগারি শুল্ক হার এবং বিদ্যমান আরোপিত শুল্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিষয়ে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষুদ্র আমানতকারীকে করের আওতার বাইরে রাখতে আমরা প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্কমুক্ত আমানতের সীমা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করেছিলাম। তবে আবগারি শুল্ক নিয়ে অনেকে আপত্তি জানাচ্ছেন। এজন্য আমরা ব্যাংক আমানতের ওপর প্রস্তাবিত শুল্কহারের পরিবর্তনসহ এক্ষেত্রে আরোপিত শুল্কের বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করছি।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দৈনিক ভোরের কাগজ আয়োজিত ‘বাজেট ২০১৭ : একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভোরের কাগজ স¤পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়ির সচিব ড. শামসুল আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্ষ ড. মীজানুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরুপাক্ষ পাল, অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. এম
আর দেবনাথ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
এম এ মান্নান বলেন, উন্নয়নের বিকল্প নেই। এজন্য আমরা উচ্চাভিলাসী বাজেট প্রণয়নের ঝুঁকি নিয়েছি। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও বড় আকারে নির্ধারণ করেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সরকার অর্থনীতির আগুনে ফু দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। যাতে অর্থনীতির চাকা গতিশীল হয়। ইতোমধ্যে তার ফলও পাওয়া গেছে। প্রবৃদ্ধি সাতের ওপরে চলে গেছে। আগামীতে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স¤পদ শ্রমশক্তি। একে কাজে লাগাতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে কল্যাণমুখী কর্মসূচিগুলো জোরদার করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ড. শামসুল আলম বলেন, দক্ষ মানবস¤পদ গড়ে তোলা এবং কর্মসংস্থান তৈরির জন্য এবারের বাজেটে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রথমবারের মত এবারের বাজেটে শিশুদের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিরুপাক্ষ পাল সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, এটি করতে না পারলে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নতি করা সম্ভব হবে না। বিনিয়োগ বাড়াতে সুদহারে সমন্বয় আনতে হবে। এজন্য সুদহার নির্ধারণে কেন্দ্রিয় ব্যাংককে একক ক্ষমতা প্রদান এবং এ সংক্রান্ত নীতিসমূহের মধ্যে সমন্বয় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন থেকে সরকারকে পিছপা চলে চলবে না। আর্থিক ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের মোক্ষম সময় এখন। সময়মত বাস্তবায়ন হলে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।