নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের রমরমা বাণিজ্য চলছেই। ফলে এসব মুদ্রণ, প্রকাশনা ও বিপণনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ নোট ও গাইডের প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে। সৃজনশীল শিক্ষায় এসব নোট ও গাইড বই অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তে গাইডবই নির্ভর হয়ে পড়ছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।
সুনামগঞ্জে নিষিদ্ধ নোট ও গাইডের রমরমা ব্যবসা অব্যাহত থাকলেও এসবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যাচ্ছে না। নোট-গাইডের প্রকাশ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বিভিন্ন এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রভাবিত করে কীভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এসব কিনতে প্রলুব্ধ করে তা বহুল আলোচিত। আমরা লক্ষ করছি, নোট-গাইডের প্রকাশক ও বিপণনকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এই চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। এছাড়া সহায়ক পাঠদানের মাধ্যমে যে কোচিং ব্যবসা চলছে এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে নিষিদ্ধ নোট-গাইড এবং কোচিং বাণিজ্য বন্ধের বিকল্প নেই।