ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
হাওরের পানিতে ধানগাছ পচে এমোনিয়া গ্যাসের প্রভাবে মাছ মরে ভেসে উঠার সংবাদ পেয়ে বুধবার সকাল ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম ও কাইঞ্জা হাওরে গিয়ে ওই দুটি হাওরের পানি পরীক্ষা করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ময়মনসিংহের প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সিরাজুম মনির ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.মশিউর রহমান। পরে ওইদিন বিকেলে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ, সহকারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক সালেহ আহমদ, সাজিদুল হক সাজু ও এমএমএ রেজা পহেল উপস্থিত ছিলেন।
ওই দু’জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, হাওরে কাঁচা ধান গাছ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তা পচে এমোনিয়া নামের এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। ফলে মাছ মরে ওই পানিতে ভেসে উঠছে। হাওরের পানিতে মাছ স্বাভাবিকভাবে বসবাসের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৫ থেকে ৬ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকার কথা। অথচ ওই দুটি হাওরের পানি পরীক্ষা করে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিগ্রাম থেকে এক মিলিগ্রাম পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন পাওয়া গেছে। বুধবার দিনের বেশির ভাগ সময় বৃষ্টি হয়েছে। এভাবে আরও বৃষ্টি হলে পানিতে মাছ বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আমরা ধারণা করছি। নমুনা পানি পরীক্ষার প্রতিবেদনটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।