স্টাফ রিপোর্টার ::
যন্ত্রে মাটি কেটে শনির হাওরের আফর (বেড়ি বাঁধ) উঁচু করতে এক কৃষকের ৫০টি করচ গাছ উপড়ে ফেলেছে ঠিকাদারের লোকজন। তাহিরপুর উপজেলার নোয়ানগর গ্রামের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। পানি সহিষ্ণু এই করচগাছগুলো বর্ষায় ঢেউয়ের কবল থেকে এই কৃষকের বাড়ি রক্ষা করতো। আর এগুলো ছিল ক্ষতিগ্রস্ত এই কৃষক পরিবারের বাড়তি আয়ের পথ। এ বিষয়ে নোয়ানগর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহ আলম তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গতকাল রোববার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের পশ্চিম পাড়ের কিছু অংশের আফর উঁচুকরণের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার হান্নান। তিনি সিলেটের বাসিন্দা। নোয়ানগর গ্রামের শাহ আলম তার বাড়ির সামনের আফর উঁচুকরণের জন্য তার রেকর্ডকৃত জমি থেকে মাটি দিয়েছেন। এরপরও গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার বাড়ির সামনে রেকর্ডকৃত ভূমিতে লাগানো ৫০টি করচ গাছ মাটি থেকে উপড়ে ফেলে ওই স্থান থেকে যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে নেয় চালক রুস্তম আলী।
শাহ আলম বলেন, আমি একজন কৃষক। করচ গাছগুলো শনির হাওরের ঢেউ থেকে আমাদের বাড়ি রক্ষা করে। আর আমার পরিবারের জ্বালানিসহ বাড়তি আয়ের যোগান দেয়। ঠিকাদারের লোকজন জোর করে আমার ৫০টি করচ গাছ উপড়ে ফেলেছে। প্রতিবাদ করলে আমাকে মারার হুমকি দিয়েছে।