দ.সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামখলা হাওরের ৩১শ হেক্টর জমির বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না করায় পানি প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঠিকাদার, পিআইসি’র গাফিলতির কারণে প্রতি বছরই ফসলহানির ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ বাঁধের নির্মাণকাজ পিআইসি’র মাধ্যমে শেষ হইলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ হয়নি। ফলে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরে পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে যেতে থাকে। এরই মধ্যে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা দেখার হাওর, জামখলা ও সাংহাইর হাওরের কিছু অংশের বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে গতকাল রোববার হাওরে গেলে স্থানীয় কৃষকরা জানান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামখলা হাওরের দরগাপাশা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত পূর্বের অংশের বাঁধ নির্মাণকালে বাঁশ, বস্তা থাকায় শক্ত ও মজবুত হওয়ায় ঐ অংশে কোন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু পূর্ব বীরগাঁও অংশে বাঁধ নির্মাণ কালীন সময়ে বাঁশ ও বস্তা ব্যবহার না করায় গত শনিবার দিবাগত রাতে বাঁধের কিছু অংশ ধসে যায়। পরে ধীরে ধীরে বাঁধের প্রায় ২শ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এসময় পিআইসি আছাদ মিয়া ও আব্দুল গফ্ফারের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষকরা জানান। পিআইসি আছাদ ও আব্দুল গফ্ফারের অনিয়মের কারণে জামখলার হাওরের পশ্চিমের মংলার দাইড় অংশে বাঁধ ভেঙে হাজারো কৃষকের স্বপ্নের ফসল চোখের সামনে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আরজ আলী বলেন, গত বছরও হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে গিয়েছিল। ওই সময়ে ৪০ শতাংশ ফসল ঘরে তুলতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার সব ধান তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।