অঞ্জন পুরকায়স্থ ::
জামালগঞ্জ উপজেলার সবকটি হাওরের ফসল রক্ষার বাঁধ এখনো অরক্ষিত। নির্দিষ্ট সময়ে পাউবো, ঠিকাদার ও পিআইসিরা বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করায় হাহাকার করছেন হাওর পাড়ের দুই লক্ষাধিক কৃষক।
হালি ও পাকনার হাওরের গুরুত্বপূর্ণ বাঁধগুলো পিআইসি ও ঠিকাদারগণ নির্মাণ না করায় কৃষকরা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা নিজেরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে হাওর রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। হালির হাওরের হোসেনপুর, কালীবাড়ি, ডাকাতখালি, হাওরিয়া আলীপুর, রাঙ্গিয়া নদী, ঝালখালি, কেচকিমারা বাঁধ, পাকনার হাওরের উজ্জ্বলপুরের বেড়ি বাঁধ, বগলাখালি, ডালিয়া, ফুলিয়া টানা, মড়লপুরের বাঁধ, মতির ঢালা বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক বাঁধে উভয়পাশের্^ মাটি ধ্বসে গেছে। বাঁশ ও মাটির বস্তা দেবে যাওয়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে বাঁধগুলোতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ বলেন, চলতি বছরে কৃষকদের “মরার উপর খাড়ার ঘা” অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণে সবকটি হাওরে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল। এ পানি নিষ্কাশন নিয়ে মতবিরোধ বিভিন্ন এলাকায়। মূলত নদী খননের বিকল্প নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসূন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমাদের প্রশাসন সর্বক্ষণ হাওরের তদারকি করছি। বাঁধ নির্মাণ কাজে বাঁশ, বস্তাসহ সকল উপকরণ সহায়তায় প্রশাসন প্রস্তুত আছে। পিআইসিদেরকেও চাপ সৃষ্টি করছি।