স্টাফ রিপোর্টার ::
পিতার জীবদ্দশায় রাজনীতির চৌহদ্দি থেকে দূরে ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একমাত্র পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত। তিনি পরিবার ও ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তবে পিতার নির্বাচনী এলাকার মানুষজনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। তারা প্রয়োজনীয় কাজে বাসায় গেলে সহযোগিতা করতেন তিনি। তবে তার পিতার মৃত্যুর পর রাজনীতির নীরবতা ভেঙে সরব হন তিনি। গত ১ মার্চ দিরাইয়ে আসার পর এখন পর্যন্ত টানা বসবাস করছেন। মায়ের পক্ষে বিরামহীন প্রচারণা চালিয়েছেন দিরাই-শাল্লার প্রতিটি এলাকায়। বিশেষ করে শাল্লা উপজেলায় কাজ করতে গিয়ে সর্বশ্রেণির ভোটারদের মন জয় করেছেন তিনি গোছানো ও আবেগঘন কথায়। ভোটাররা সুরঞ্জিতের পুত্রকে হৃদয় থেকে করেছেন গ্রহণ।
জানা গেছে, ড. জয়া সেনগুপ্তার পক্ষে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে দল গঠন করে কাজ করেন। তবে সবচেয়ে বেশি শাল্লা উপজেলায় কাজ করেছেন সৌমেন সেনগুপ্ত। তিনি শাল্লা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তাকে কাছে পেয়ে নেতাকর্মীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ছেলের সামনে ভোটাররা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিভিন্ন সময়ের স্মৃতি রোমন্থন করেন।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তার সুযোগ্য ছেলেকে এবার কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষ আবেগাপ্লুত হয়েছে। আমরা নেতার ছায়া খুঁজেছি তার মধ্যে। তিনিও তার পিতার মতো আমাদের হৃদয় জয় করেছেন। তিনি যেভাবে তার মাতার জন্য কাজ করেছেন মনে হয়েছে তিনি একজন পাকা রাজনৈতিক কর্মী।