1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বাণিজ্য বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭

নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের অবাধ বাণিজ্য চলছে। এ বিষয়ে দৈনিক সুনামকণ্ঠে গতকাল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে জগন্নাথপুর উপজেলায় নিষিদ্ধ গাইড বই বাণিজ্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি সুনামগঞ্জ জেলাজুড়েই গাইড বইয়ের রমরমা বাণিজ্য রয়েছে।
শিক্ষাবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে আমরা এর সুফলও দেখতে পাচ্ছি। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। তবে সরকারের এই শিক্ষাপদ্ধতিতে প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে গাইড বই। হাতের কাছে গাইড বই পাওয়ায় এর নির্ভরতাও বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীরা ঝুঁকছেন এই গাইড বইয়ের দিকে। এতে ভেস্তে যাচ্ছে সৃজনশীল পদ্ধতির কার্যকারিতা।
অভিযোগ উঠেছে, এসব নিষিদ্ধ গাইড বই চড়া দামে বিক্রি করছেন অসাধু বিক্রেতারা। অনেক শিক্ষকও এর সাথে জড়িত রয়েছেন। এই বাণিজ্যে তৈরি হয়েছে সিন্ডিকেট ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।
জানা যায়, ২০১০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ও ধর্ম শিক্ষা প্রথমবারের মতো সৃজনশীল পদ্ধতির আওতায় আসে। ক্রমান্বয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে এইচএসসি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রাথমিক স্তরে সৃজনশীলের আদলে চালু করা হয় যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। মুখস্তবিদ্যা, গাইড বই নির্ভরতার বদলে চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটানোই ছিল সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর পেছনের কথা। কিন্তু বাজার যেখানে দখল করে রেখেছে নোট ও গাইড বই সেখানে সৃজনশীল পদ্ধতি হুমকির মুখে পড়াটা স্বাভাবিক। সব শ্রেণির, সব সৃজনশীল বিষয়ের গাইড বই পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। অভিভাবকরা চড়ামূল্যের এসব বই তুলে দিচ্ছেন ছেলেমেয়েদের হাতে। অথচ সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের একমাত্র সহায়ক হওয়ার কথা পাঠ্যবই।
প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের নোট বই মুদ্রণ, প্রকাশনা, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধকরণের উদ্দেশ্যে প্রণীত ১৯৮০ সালের নোট বই নিষিদ্ধকরণ আইনের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি নোট বই মুদ্রণ, প্রকাশনা, আমদানি, বিক্রয়, বিতরণ অথবা কোনো প্রকারে উহার প্রচার করিতে বা মুদ্রণ, প্রকাশনা, বিক্রয়, বিতরণ কিংবা প্রচারের উদ্দেশ্যে রাখিতে পারিবেন না।’ এ আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদ- অথবা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে-দ-িত করার বিধান রাখা হয়েছে। পরে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নোট বই নিষিদ্ধকরণ আইনের আওতায় নোট বইয়ের সঙ্গে গাইড বইও বাজারজাত এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করেন হাইকোর্ট।
আমরা মনে করি, সৃজনশীল পদ্ধতির জন্য বড় হুমকি বিভিন্ন প্রকাশনীর নোট বা গাইড বই। এই নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই বিক্রয় বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি। তাছাড়া এসব বই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটাই প্রত্যাশা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com