স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রতি মাসে জেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়। সভায় উপস্থিতি কম হয়। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা প্রতি মাসে বা দুই মাস পর পর করার জন্য সকল ইউএনওকে বলা হয়, তারা সভা করেন তবে কমিটির সদস্যদের উপস্থিতি কম হয়। ইউনিয়ন কমিটির সভা তো হয় না। অর্থাৎ এখানে দুর্যোগ কম মনে হয় এই কারণে। বর্ষাকালীন সময়ের মতো সব সময় দুর্যোগ থাকে না। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল বেশি থাকে। সুনামগঞ্জে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও মানুষের সৃষ্টি অনেক প্রকার দুর্যোগ আছে। তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় বের করতে হবে সকলকে।’
বুধবার সকালে দুর্যোগের স্থায়ী আদেশাবলি বাস্তবায়নে শিক্ষন বাধাসমূহ এবং সুপারিশমালা চিহ্নিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘জেলায় প্রতি বছর ফসল ভাল হচ্ছে। কৃষকরা ঘরে তোলতে পারছেন ফসল। তারপরও ফসলহানির আশঙ্কা থেকেই যায়। গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০ ভাগ ফসল আমরা হারিয়েছি। অর্থাৎ আড়াই লাখ মেট্রিক টন বোরো ফসল। দুর্যোগ মোকাবেলায় বেশি করে প্রস্তুতি নিতে হবে সকলের। বেশি করে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ‘দুর্যোগ প্রস্তুতি সারাক্ষণ, আনতে পারে টেকসই উন্নয়ন’ এই স্লোগান মনে রেখে দুর্যোগ প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে আমরা সচেতন হলে অবশ্যই সকল প্রকার দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজজামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুন নাহার চৌধুরী, উপ-পরিচালক সায়লা ইয়াসমিন, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ড্যামেজ ও নীড এসেসম্যান্ট বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফ খান, অক্সফাম’র সিনিয়র ইন ফ্লুয়েন সিং অফিসার সুবর্ণা সাহা, পপি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক শেখ কামরুল হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বেলাল হোসেন, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স’র উপসহকারী পরিচালক মো. জাবেদ হোসেন, আনোয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রতন কুমার মিস্ত্রী, পি.আই.ও জিএম ওয়ালিউল ইসলাম, ভার্ড চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মশিউর রহমান, ইরা প্রতিনিধি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, পদ্মা’র প্রতিনিধি সাজ্জাদুর রহমান, সাংবাদিক আকরাম উদ্দিন, শহীদ নুর আহমদ, স্যানক্রেড (আইসিডিপি) প্রতিনিধি রুমা সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম), জেলা প্রশাসন এবং এনজিও সংস্থা পপি’র আয়োজিত কর্মশালায় সহযোগিতা করে অক্সফাম।
কর্মশালায় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিনিধি, কমিউনিটি প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।