1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

২৮ কোম্পানির স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
তিন দিনের মধ্যে ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশ দেয়।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা তা জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ উৎপাদন মালিক সমিতির সভাপতি, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং র্প্যাকটিস’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাÍক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।”
ওষুধের মান ঠিক রাখতে উৎপাদন পদ্ধতি, লোকবল, কারখানার অবস্থান, পদ্ধতি, মোড়কজাতকরণসহ অনেক বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে ‘গুড মেনুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ বা জিএমপি নীতিমালায়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, “এ নীতিমালা আমাদের দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা স্বীকৃত। ফলে জিএমপি লঙ্ঘন করে ওষুধ উৎপাদন সম্ভব নয়।”
রিট আবেদনে ১৯৮২ সালের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ থেকে উদ্বৃত করা হয়েছে। এর ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিটি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি অনুযায়ী ওষুধ উৎপাদন করবে।
আবার ১৫ (২) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ওষুধ কোম্পানি জিএমপি অনুসরণ না করে, সেই কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল অথবা স্থগিত করা যেতে পারে।
অধ্যাদেশের ১৭ ধারায় নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত, মজুদ, অথবা বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানাসহ শাস্তি অথবা উভয় দণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।
মনজিল মোরসেদ বলেন, “মাননীয় কারের অনুমতিক্রমে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে এসব কো¤পানির উৎপাদিত অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করে। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনস্বর্থে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।”
যে ২৮ কোম্পোনির ওপর নিষেধাজ্ঞা :
অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, অ্যাজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল টেকনো ফার্মা লিমিটেড, বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডিসেন্ট ফার্মা লিমিটেড, ডা. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ম্যাক্স ড্রাগস লিমিটেড, ম্যাডিমেট ল্যাবোরেটরিজ লিমিটেড, মডার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, অর্গানিক হেলথকেয়ার লিমিটেড, ওয়েস্টার ফার্মা লিমিটেড, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনাইটেড ক্যামিকেলস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ইউনিট-১, ইউনিট-২ ও ইউনিট-৩।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com