অপুষ্টির শিকার হচ্ছে শিশুরা। দেশে ২৩ শতাংশ শিশু জন্ম নিচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে কম ওজনে। মা সহ অন্য শিশু পরিচর্যাকারীদের ৭৩ শতাংশ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে জন্ম থেকেই শিশুরা পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে।
দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার (২০১৬-২০১৫) চূড়ান্ত খসড়ায় দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির চিত্রে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞজনেরা। সাম্প্রতিক এই দলিলে বলা হয়েছে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে উচ্চমাত্রায় অপুষ্টি রয়েছে। বয়সের তুলনায় এদের ৩৬ শতাংশের উচ্চতা কম, ১৪ শতাংশ খর্বকায় ও ৩২ শতাংশের ওজন কম।
পুষ্টিহীনতার কারণগুলোর মধ্যে সচেতনতার অভাব, মাঠপর্যায়ে পুষ্টি নিয়ে কাজ করার জন্য পৃথক কোনো কর্মী না থাকা, আমিষ জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও এর ভোগ বাড়ানোর উদ্যোগ না থাকার কারণ ইত্যাদি।
১০ বছর মেয়াদী সরকারের পরিকল্পনা দলিলে বলা হয়েছে, শিশু ও প্রজনন বয়সী নারীদের মধ্যে অনুপুষ্টি কণার ঘাটতি একটি চ্যালেঞ্জ। প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ২০ শতাংশ ভিটামিন-এ ও ৪৬ শতাংশ জিঙ্ক স্বল্পতায় ভুগছে। প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যালয় বয়সী শিশু ও ৪২ শতাংশ নারী আয়োডিনের স্বল্পতায় ভুগছেন। ৩৩ শতাংশ প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু ও ৫০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর রক্তস্বল্পতা রয়েছে।
অপুষ্টি দূরীকরণে সরকার ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ আরো ১৪টি মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যুক্ত করা হয়েছে। যা সরকারের একটি শুভ উদ্যোগ। পুষ্টিহীনতা দূর করতে সরকারকে আরো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে এ পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।