1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ধীরগতি কাম্য নয়

  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

দিরাই উপজেলায় হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো আবাদ করলেও হাওর রক্ষা বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। নিয়মানুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও উপজেলার প্রায় অধিকাংশ বাঁধের কাজ এখনও শুরু হয়নি। কোনো কোনো বাঁধে এ পর্যন্ত ১০-২০ ভাগ কাজ হয়েছে। এ নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় স্বয়ং জেলা প্রশাসকও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দিরাই উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, ভান্ডা বিল হাওর, বরাম হাওর, চাপাতি, সুরাইয়া, বিবিয়ানা হাওর, হুরামন্দিরা হাওর, উদগল বিল হাওর, কালিকোটা হাওর, পাগনার হাওরসহ ৯টি হাওরে ৪৬টি পিআইসির মাধ্যমে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মোট ২২ দশমিক ০৫০ কিলোমিটার অস্থায়ী ডুবন্ত বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামত বরাদ্দে ব্যয় করা হবে ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ টাকা। কিন্তু সময়মত বাঁধের কাজ শুরু এবং শেষ না করা, এমপির মনোনীত সদস্য ও পাউবো কর্মকর্তাদের দেনদরবার, পাউবোর মাঠ প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তাদের যথাসময়ে যথাযথভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ মাঠপর্যায়ে নজরদারি না করা সর্বোপরি বিল উত্তোলনের সময় ভাগভাটোয়ারা নিয়ে মনমালিন্যতা সৃষ্টি হওয়া এসব অনিয়মের কারণে বাঁধের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হয়ে ওঠে না। ফলে বর্ষার পানিতে বাঁধ ভেঙ্গে প্রতিটি বছরই কৃষকের ঘরে পুরোপুরি বোরো ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হয় না।
এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি উদগল হাওরের মাউচ্ছখাড়া, কালিকোটা হাওরের কলিকলিয়া, বরাম হাওরের বোয়ালিয়া, চাপাতি হাওরের বৈশাখীসহ ৩০/৩৫টি বড় ভাঙ্গা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে কৃষকদের আকুতি কর্তৃপক্ষের আজো দৃষ্টিগোচর হয়নি বরং প্রতিবছরই তিনমাসের জন্য অস্থায়ী বাঁধ মেরামতে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছে পাউবো। এসব বাঁধ কৃষকের কোনো উপকারেই আসছে না। পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে এর অর্ধেক বাজেটে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা যেতো।
বাঁধ নির্মাণের সময় হলেই প্রতিবছর রাজনৈতিক বড় বড় নেতা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলে থাকেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে পাউবো’র কোনো রকম গাফিলতি সহ্য করা হবে না। কিন্তু দেখা গেছে হাওরের সোনালী ফসল ভেসে যায়, কৃষকের চোখের জল আর বর্ষার পানি একাকার হয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতিশীল রাজনৈতিক নেতা কিংবা জেলার বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেন না।
বাঁধ নির্মাণের কাজ জরুরিভিত্তিতে শেষ করতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো। কৃষক তাঁর ফসল ঘরে তোলার নিশ্চয়তা দিতে হবে। কৃষককে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করতে হবে এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো আবাদ করার সুফল পেতে কৃষক যে আশায় বুক বেঁধেছে তাদের সেই আশা পূরণ করতে পাউবোকেই দায়িত্ব নিতে হবে এবং সেটা আমরা প্রত্যাশা করি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com