সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক পদ শূন্য থাকায় বাড়ছে মামলা জট, বিচারপ্রার্থীদের বাড়ছে ভোগান্তি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিচারক পদটি শূন্য রয়েছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে মামলা জট। দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের পদ শূন্য থাকায় শত ব্যস্ততা সামলে এই ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মুজিবুর রহমান। বর্তমানে এই ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে ১ হাজার ৩৫৫টি মামলা। এসব মামলার পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে নতুন মামলা। বিচারক শূন্যতায় মামলার জট দিন দিন বেড়েই চলছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটনায় আদালতের কাছে বিচার প্রত্যাশা করেন নির্যাতিতরা এবং দ্রুত এ সব মামলার নিষ্পত্তিও কামনা করে থাকেন। বিচারক থাকলে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে থাকে এ ধরনের নজিরও রয়েছে এ ট্রাইব্যুনালে। বিচারক মো. আবু সুফিয়ান ৮ মাস সময়ের মধ্যে প্রায় ৮ শত মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। তবে তিনি অবসর গ্রহণ করার পর ওই বিচারকের পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। কিন্তু এই শূন্য পদ আজও পূরণ হয়নি। এ ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে জেলা ও দায়রা জজ মো. মুজিবুর রহমান প্রায় ৩শ’ মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
বিচারকগণ বিচারকার্য দ্রুত নিষ্পত্তি করাটা যেমন তাঁদের দায়িত্ব বোধ মনে করেন, তেমনি সে দৃষ্টিতে বিচারপ্রার্থীদের অধিক সময় না নিয়ে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতে মনোযোগী হন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেখানে সংশ্লিষ্ট বিচারকের পদটি শূন্য রয়েছে সেখানে মামলা জটতো সৃষ্টি হবেই। জেলার নারী ও শিশু যারা নির্যাতনের শিকার হয়ে বিচার প্রত্যাশা করে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন, তাঁরা পড়ছেন ভোগান্তির মধ্যে। তাই বিচার প্রত্যাশীদের দিকটি বিবেচনা করতে হবে। এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারক শূন্যতা পূরণ করতে কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে।