ডলুরায় শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন পয়েন্ট চালু হলে জেলায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন দ্বার উন্মোচন হবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। স্থল শুল্ক স্টেশনটি এ বছরই চালু হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. নজিবুর রহমান। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ‘রাজস্ব সংলাপ’। এ সংলাপে ওঠে আসে ডলুরায় স্থল শুল্ক স্টেশন চালুর বিষয়টি।
জানাগেছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আগ্রহের কমতি নেই। তবে ভারত আগ্রহী হলেই এটি পূর্ণাঙ্গ স্থল শুল্ক স্টেশন হবে এবং সেখানে কাস্টমস পোর্ট ফ্যাসিলিটি ও ইমিগ্রেশন ফ্যাসিলিটি থাকবে। শুল্ক স্টেশন চালু হলে আমাদের জেলার সাথে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে রাজস্ব, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে, লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা। জেলায় অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে সুনামগঞ্জের ডলুরা শুল্ক স্টেশন।
আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই ভারত ও বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এ সময় ভারতীয় কাস্টমস, বিএসএফ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করা। আমাদের সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। এ ক্ষেত্রে ডলুরায় স্থল শুল্ক স্টেশন চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।