সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন নার্স সংকট থাকায় হাসপাতালের রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত ছিল। মাসখানেক পূর্বে ১৪৪ জন নার্সের নিয়োগ হয়েছিল সদর হাসপাতালে। নার্স নিয়োগ হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছিল। এখন আবার নার্সগণ বদলির জন্য তদবির শুরু করায় নার্স সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ডিসেম্বর মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চমহলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম ১৪৪জন নার্স নিয়ে আসেন সদর হাসপাতালে। তখন অনেকটা স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পায় হাসপাতালে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ২৩৩ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১৭৪ জন। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের বেশির ভাগই অন্য জেলার বাসিন্দা হওয়ায় যোগদানের পরপরই বদলির জন্য তদবির শুরু করেন তারা। বদলি প্রক্রিয়ায় গত ডিসেম্বর মাসে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ জন নার্স বদলি হয়ে নিজের সুবিধাজনক স্থানে চলে গেছেন। আরো অর্ধশত নার্স বদলির প্রত্যাশায় রয়েছেন। ফলে আবারও নার্স সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নার্স নিয়োগ দেওয়া হয় নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে। সেখান থেকেই নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া হয়, যার ফলে নার্সগণ কীভাবে বদলির অর্ডার নিয়ে আসেন তা জানেন না স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃপক্ষ। নার্সদের বদলি ঠেকাতে না পারলে সদর হাসপাতালে আসা সেবাগ্রহিতারা আবারও সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন এটাই নিশ্চিত। নার্সদের সেবা প্রদানের মানসিকতা এবং শহরে সচেতন নাগরিকসহ সকল পর্যায়ের মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসার মান উন্নয়ন করতে হবে। নার্স বদলি ঠেকাতে মন্ত্রী, এমপিদের ভূমিকা সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিশেষ ভূমিকাও থাকতে হবে। জেলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সেবা নিশ্চিত করতে নার্স বদলি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ এটাই আমাদের প্রত্যাশা।