স্টাফ রিপোর্টার ::
তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের পদবী পরিবর্তন করে মুখ্য কর্মকর্তা ও দশম গ্রেড স্কেলের মর্যাদা প্রদান। এছাড়া বেতন, ভাতাসহ যাবতীয় সুবিধাদি শতভাগ সরকারি কোষাগার থেকে প্রদানের ব্যবস্থা করা ও সচিবদের আর্থিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে পেনশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি মেনে না নেয়ায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করেছে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশের ৪,৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের সংগঠন বাপসা কেন্দ্রীয় কমিটি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ওই কর্মসূচি থেকে ঘোষণা করা হয় তাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নিলে ১২ ফেব্রুয়ারি সকল ইউপি সচিব দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে একদিনের অনশন কর্মসূচি পালন করবে। এরই ধারাবাহিকতায় বাপসা সুনামগঞ্জ জেলা শাখা দিনব্যাপি অনশন কর্মসূচি পালন করে।
তাদের এ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক।
সুনামগঞ্জ জেলা বাপসার সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল-আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেনের পরিচালনায় অনশন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সচিব মৃণাল কান্তি দাস, তরুণ কুমার বসু, অজিত কুমার রায়, মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ, তাহেরুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, ভানু চাঁদ দাস, ভূপতি ভূষণ দাস, মিতালী বেগম তালুকদার, সজীব কান্তি দাস, আসিফ আফিন্দী, আলমগীর হোসেন, সমীর কান্তি দে প্রমুখ।