1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে : রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষোভ

  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বিশেষ প্রতিনিধি ::
হাওর-ভাটির কিংবদন্তী নেতা ও বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে বলে মনে করেন তার নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক সহকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ। শেষ জীবনে এসে সেই আক্ষেপ নিয়েই পৃথিবী ত্যাগ করলেন এই জাতীয় নেতা।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পীযুষ দাশ বলেন, আমার নেতার প্রতি শেষ জীবনে রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে। তাঁর স্পষ্টবাদিতা ও আপোষহীনতার কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে অরাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছে। রাজনৈতিক অবিচারের কারণে আমার নেতা তাঁর শেষ স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারেননি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই রাজনৈতিক অনুসারী আরো বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শেষ স্বপ্ন ছিল দিরাই-শাল্লা রাস্তাটির উদ্বোধন করবেন। কিন্তু তার স্বপ্নটি অপূর্ণই থেকে গেলো। রাজনৈতিক অবিচারের কারণে তিনি তার শেষ স্বপ্নপূরণ করতে পারেননি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে নেতার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গেলে তিনি আমার হাত মাথা বুলিয়ে বলেছিলেন, ‘আল আমিন যাইসনারে, তোর সঙ্গে কথা আছে।’ বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন আল আমিন চৌধুরী। কিছুক্ষণ পরে ধরা গলায় এই নেতা বলেন, আমি জানিনা লিডার আমাকে কী বলতে চেয়েছিলেন। লিডার শেষ জীবনে নানা কারণে হতাশ হয়েছিলেন। তার প্রতি রাজনৈতিক অবিচার করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে নেতা সেই অবিচার সহ্য করেছিলেন। তার সহযোদ্ধা ও প্রবীণ সহকর্মীদের স্মৃতি ধরে রাখতে গত দুই বছরে দিরাই শাল্লায় দুটি কলেজ ও চারটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জেলা শহরের সঙ্গে দুই উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে রাস্তাঘাট ও সেতুর কাজ করেছেন। নেতা খুব দ্রুত কাজ শেষ করার কথা বলতেন। কিন্তু অনেক কাজই শেষ করে যেতে পারেননি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাল্যবন্ধু আব্দুল কদ্দুছ বলেন, যারা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রথম যৌবন দেখেনি তারা বলতে পারবেনা কিভাবে প্রতিকূল থেকে এক নেতা জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন। তাঁর জন্মই হয়েছিল যেন নেতা হওয়ার জন্য। সত্তরের নির্বাচনে বাঘাবাঘা নেতাদের বদলে তিনি ন্যাপের মনোনয়ন পেয়ে বৃটিশ ভারতের মন্ত্রীকে পরাজিত করেছিলেন। আমি মনে করি তার ধারালো কথা সহ্য করতে পারতোনা অনেকে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। শেষ জীবনে তার প্রতি রাজনৈতিক অবিচারের কারণে আমাদেরকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তবে নানা ষড়যন্ত্র ও অবিচার হলেও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হবেনা।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে : রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষোভ
বিশেষ প্রতিনিধি ::
হাওর-ভাটির কিংবদন্তী নেতা ও বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে বলে মনে করেন তার নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক সহকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ। শেষ জীবনে এসে সেই আক্ষেপ নিয়েই পৃথিবী ত্যাগ করলেন এই জাতীয় নেতা।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পীযুষ দাশ বলেন, আমার নেতার প্রতি শেষ জীবনে রাজনৈতিক অবিচার হয়েছে। তাঁর স্পষ্টবাদিতা ও আপোষহীনতার কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে অরাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছে। রাজনৈতিক অবিচারের কারণে আমার নেতা তাঁর শেষ স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারেননি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই রাজনৈতিক অনুসারী আরো বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শেষ স্বপ্ন ছিল দিরাই-শাল্লা রাস্তাটির উদ্বোধন করবেন। কিন্তু তার স্বপ্নটি অপূর্ণই থেকে গেলো। রাজনৈতিক অবিচারের কারণে তিনি তার শেষ স্বপ্নপূরণ করতে পারেননি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে নেতার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গেলে তিনি আমার হাত মাথা বুলিয়ে বলেছিলেন, ‘আল আমিন যাইসনারে, তোর সঙ্গে কথা আছে।’ বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন আল আমিন চৌধুরী। কিছুক্ষণ পরে ধরা গলায় এই নেতা বলেন, আমি জানিনা লিডার আমাকে কী বলতে চেয়েছিলেন। লিডার শেষ জীবনে নানা কারণে হতাশ হয়েছিলেন। তার প্রতি রাজনৈতিক অবিচার করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে নেতা সেই অবিচার সহ্য করেছিলেন। তার সহযোদ্ধা ও প্রবীণ সহকর্মীদের স্মৃতি ধরে রাখতে গত দুই বছরে দিরাই শাল্লায় দুটি কলেজ ও চারটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জেলা শহরের সঙ্গে দুই উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে রাস্তাঘাট ও সেতুর কাজ করেছেন। নেতা খুব দ্রুত কাজ শেষ করার কথা বলতেন। কিন্তু অনেক কাজই শেষ করে যেতে পারেননি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাল্যবন্ধু আব্দুল কদ্দুছ বলেন, যারা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রথম যৌবন দেখেনি তারা বলতে পারবেনা কিভাবে প্রতিকূল থেকে এক নেতা জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন। তাঁর জন্মই হয়েছিল যেন নেতা হওয়ার জন্য। সত্তরের নির্বাচনে বাঘাবাঘা নেতাদের বদলে তিনি ন্যাপের মনোনয়ন পেয়ে বৃটিশ ভারতের মন্ত্রীকে পরাজিত করেছিলেন। আমি মনে করি তার ধারালো কথা সহ্য করতে পারতোনা অনেকে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। শেষ জীবনে তার প্রতি রাজনৈতিক অবিচারের কারণে আমাদেরকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তবে নানা ষড়যন্ত্র ও অবিচার হলেও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হবেনা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com