সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় দাখিল করা সম্পৃরক অভিযোগপত্রে ‘উগ্রপন্থি ব্লগার’ সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমানের নাম যুক্ত করেছে সিআইডি। আদালতের নির্দেশে এই মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী ধারা যুক্ত করে গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার জিআর শাখায় স¤পূরক অভিযোগপত্রটি জমা দেন।
সিলেট আদালতে পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, স¤পূরক অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। সম্পৃরক অভিযোগপত্রের সঙ্গে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) আইন ২০১৩-এর ৪০ ধারায় অনুমোদনের জন্যও এর মধ্যে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী বলেন, সম্পৃরক অভিযোগপত্রে শুধু সিলেটের রিকাবিবাজারের বাসিন্দা ফারাবীর নামই নতুন করে যুক্ত হয়েছে। বাকি পাঁচজন আগে থেকেই আসামি ছিলেন। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকিরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার ফালজুর গ্রামের আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমেদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর গ্রামের হারুন অর রশিদ (২৫), কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহি ওরফে ইবনে মইন (২৪) ও ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশিদ আহম্মেদ (২৪)। এদের মধ্যে আবুল, ফয়সাল ও হারুন পলাতক এবং বাকিরা তিন জন কারাগারে রয়েছেন। গত বছরের ২৮ অগাস্ট পরিদর্শক আরমান পাঁচজনকে আসামি করে একই অভিযোগপত্র জমা দিলে তাতে ত্রুটি রয়েছে উল্লেখ করে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।
পুলিশ কর্মকর্তা তৌহিদুল জানান, অন্তত হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া ফটো সাংবাদিক ইদ্রিস আলীসহ ১০ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। বাকিরা হলেন- কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের মোহাইমিন নোমান, ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মো. সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, আমিনুল মল্লিক, জাকিরুল্লাহ রফে হাসান, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আহসান, জুলহাস বিশ্বাস, মো. জাফরান হাসান ও আবুল বাসার।