বিশেষ প্রতিনিধি ::
গাইবান্ধার এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকা-ের পর সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের ৬ এমপি’র নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ‘বিশেষ নিরাপত্তা’ বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি তারা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রেরণ করেছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের একা একা চলাফেরা না করা, দলীয় কার্যালয় ও বাসায় দলীয় নেতাকর্মীদের ন্যূনতম নিরাপত্তার চেকআপ করে সাক্ষাৎ করার সুযোগ প্রদান, নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানকালে ও বিভিন্ন জনসভায় অংশগ্রহণকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, গভীর রাতে বা লোক সমাগম বেশি না হলে দলীয় নেতাকর্মী ও সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সাথে দেখা না করা।
জানা গেছে, মহাজোট সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি একটি বিশেষ গোষ্ঠীর শত্রুতার কারণে এবং সম্প্রতি গাইবান্ধার এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার পর অনেক মন্ত্রী-এমপি নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন। অনেকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভাসহ কিছু কাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, সাংসদদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক। সংশ্লিষ্টদের তিনি এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সাংসদ হলেও আমরা সাধারণ মানুষ। তাই আমরাও নিরাপত্তা প্রত্যাশী। এমপি লিটন সাহেবকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিলে অকালে তার প্রাণ ঝরতো না। সাংসদের নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।