1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

দিরাই জারুলিয়া জলমহাল : সংঘাতে প্রাণ গেল তিন জনের

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলার জারুলিয়া জলমহাল দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার লোকদের মধ্যে আবারো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনসহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাজুল ইসলাম (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। শাহারুল (২৮) ও উজ্জ্বল (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারুলিয়া জলমহাল দখল নিয়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা একরার হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছে। মাসুক মিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এহিয়া চৌধুরীকে নিয়ে জলমহালটি স্থানীয় দক্ষিণ নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ইজারাদার ধনঞ্জয় দাসের কাছ থেকে সাব-ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। অন্যদিকে একরার হোসেনও দাবি করছেন তিনিও সমিতির কয়েকজনের কাছ থেকে সাব-ইজারা নিয়েছেন। আর এই বৈধতা বলেই জলমহালে দখলে ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় একরার হোসেনের লোকজন জলমহাল দখল করতে গেলে মাসুক মিয়ার লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষই বন্দুক ব্যবহার করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় জলমহাল এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আকিলনগর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহারুল (২৮), হাতিয়া গ্রামের আমান উল্লার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫), হাতিয়া গ্রামের আল আমিন (২৪), সোনাফর আলী (২৭) এবং সুরিয়ারপাড় গ্রামের মালেক মিয়াসহ কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বিকেল সাড়ে ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহারুল ও উজ্জ্বল মিয়া। অন্য আহতদের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
জলমহালের সাব-ইজারাদার দাবিদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক মিয়া বলেন, আমরা যথাযথভাবে সরকারকে খাজনা দিয়ে জলমহাল দখলপ্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে আসছি। মঙ্গলবার একাধিক মামলার আসামি একরার হোসেন দলবল নিয়ে অতর্কিত আমাদের লোকদের উপর গুলি চালায়। এতে আমাদের খলাঘরে থাকা কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এর আগেও একরার হোসেন বন্দুক নিয়ে জলমহালে হামলা চালিয়েছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আরেক সাব-ইজারাদার দাবিদার একারার হোসেন জানান, ইজারাদারদের কাছ থেকে তিনি সাব-ইজারা নিয়েছেন। এর আগে আগেও তিনি ভোগ দখলও করে আসছেন। মঙ্গলবার মোশারফ মিয়া, হাফিজ, কাউসার, মাসুক গং তার লোকজনের উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। এতে তার তিনজন লোক নিহত হয় বলে তিনি জানান।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে একজন এবং সিলেটে ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে যে একজন মারা গেছেন তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যেই পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হতাহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com