১৫ ডিসেম্বর থেকে হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু কথা ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর প্রায় শেষ। ফসলরক্ষা বাঁধের যে প্রাথমিক কাজগুলো তা এখনো সম্পন্ন হয়নি। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলার ৪২টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ হবে। পিআইসির মাধ্যমে কাজ হবে ১০ কোটি ৭২ লখ টাকার এ জন্য ২২৫টি কমিটি (পিআইসি) গঠন করা দরকার কিন্তু এখানো কমিটি গঠনে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিটি পিআইসি সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকার কাজ করে থাকে। ৫ থেকে ৭ সদস্যের প্রতিটি পিআইসিতে স্থানীয় সংসদের মনোনীত ৩জন প্রতিনিধি থাকেন। পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সাংসদেরা তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের নাম দিতে দেরী করায় এখনো অর্ধেক পিআইসি গঠন করা সম্ভব হয়নি বলে জানাগেছে।
পিআইসি ছাড়া ও ঠিকাদারদের মাধ্যমে এবার ৪৬ কোটি টাকার কাজ হবে হাওরগুলোতে। মূলতঃ ঠিকাদাররা নতুন বাঁধ তৈরি ও বাঁধ উঁচু করার কাজ করবেন, কিন্তু এগুলোর কাজও এখনো পর্যন্ত শুরু হয়নি।
হাওররক্ষা বাঁধে প্রতি বছর একই চিত্র আমরা লক্ষ্য করে থাকি। ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু না হওয়াতে শেষ পর্যায়ে দায়সারাভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। ফলে বাঁধগুলো টেকসই না হওয়াতে অতিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের ধাক্কায় বাঁধগুলো ভেঙে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রতি বছর ফসলরক্ষা বাঁধে অনিয়মের ফলে যে ক্ষতি হয় সেই ক্ষতি আর পূরণ হয় না কৃষকের। ফসল ঘরে তোলতে না পারায় অনেক কৃষককে পথে বসতে হয়।
প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর গাফিলতিতে। আমরা আশা করবো কৃষক যাতে তাদের ফসল ঘরে তোলতে পারে সে জন্য জনপ্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করবেন।