আজ জেলা পরিষদ নির্বাচন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এবারই প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যদের সরকার মনোনীত করত। এ দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মতো জেলা পরিষদের সদস্যদেরও জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার। সরকার অবশেষে ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এই ভোটে জনগণ অংশগ্রহণ করছে না। ভোটে অংশগ্রহণ করবেন অন্যান্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
পাঁচ বছরমেয়াদি জেলা পরিষদগুলোতে বর্তমানে অনির্বাচিত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মেয়াদপূর্তিতে এবারই প্রথম জেলা পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। এ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলায় ১২১৫ জন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবেন।
নির্বাচনে টাকা লেনদেনের নানা অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। নির্বাচনে টাকাই যদি বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় তবে যারা বেশি টাকা ভোটারদের দিতে পারবেন তারাই জয়ী হবেন। যদি এমনটি সত্যিই ঘটে তবে তা হবে সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য একটি দুঃসংবাদ। রাজনীতির ময়দানে প্রতিশ্রুতি হরেক রকমের মিলে কিন্তু বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব তা কেবল রাজনীতিবিদরাই ভালো বলতে পারবেন। আমরা তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি চাই না, প্রতিশ্রুতির সঠিক মূল্যায়ন চাই।
আজ জেলা পরিষদ নির্বাচনে যাঁরা বিজয়ী হবেন তাঁদের অন্যতম দায়িত্ব হবে নির্বাচকমন্ডলীসহ সর্বস্তরের জনগণের সাথে আরও সংলগ্ন হয়ে জেলা পরিষদকে তৃণমূল মানুষের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার। আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য বিজয়ী চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ সদস্যদের আগাম অভিনন্দন।