1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুনামগঞ্জ মাতালেন কুমার বিশ্বজিৎ

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন ও হীরক জয়ন্তী পালন উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর শনিবার ছিল উৎসবের শেষ দিন। সমাপনী দিনের আয়োজনকে বর্ণিল ও প্রাণবন্ত করলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি গানে গানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। সেই মুগ্ধতার ঢেউ যেন ছড়িয়ে গেল সবখানে।
শনিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিট। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী তুলিকা ঘোষ চৌধুরী ঘোষণা করলেনÑ মঞ্চে আসছেন কুমার বিশ্বজিৎ। এই ঘোষণার সাথে সাথে অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত চন্দ্রালোকের বালিকারা আনন্দে মেতে উঠলেন। তুমুল করতালি দিয়ে স্বাগত জানালেন কুমার বিশ্বজিতকে। এ যেন চন্দ্রালোকে সুরের ধ্রুবতারা’র আগমন। কুমার বিশ্বজিৎ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেনÑ আজকের এই বিশেষ দিনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। আমি অনেক আগেই আসতে চেয়েছিলাম, এখন জোর করেই মঞ্চে উঠে এসেছি। এই মহামিলনে সবাইকে আবারো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। কৃতজ্ঞতা জানালেন ৭৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী এমপি এবং সদস্য সচিব সঞ্চিতা চৌধুরীসহ অন্যান্য আয়োজকদের।
কথা না বাড়িয়ে কুমার বিশ্বজিৎ এবার গান ধরলেনÑ যেখানে সীমান্ত তোমার….। গানের প্রথম লাইন শোনার সাথে সাথে বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে তুমুল হর্ষধ্বনি। জ্যেষ্ঠ, কনিষ্ঠের ভেদাভেদ ভুলে প্রাক্তন ছাত্রীরা আনন্দ নৃত্যে মেতে উঠলেন। কুমার বিশ্বজিতের গানে সুর মিলালেন, তালে তালে নাচতে থাকলেন। এই আনন্দ কোন বাধা মানে না। অকৃত্রিম আনন্দ… শুধুই আনন্দ…।
কুমার বিশ্বজিৎ একে একে গাইলেন তার জনপ্রিয় গানÑ ও ডাক্তার আপনি যখন করবেন আমার ওপেন হার্ট সার্জারি…, মেঘলা দুপুরে উদাস চোখে দেখছে পাখি…, তুমি যদি বলো পদ্মা মেঘনা একসাথে দেব পাড়ি…, অন্তর জ্বলেরে জ্বলে…, তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসবে…, জলে যাইয়ো না গো রাই আজ কালিয়ার জলে যাওয়ার জাতের বিচার নাই…।
গানের ফাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না সুনামগঞ্জবাসীকে। গাইলেন জবান আলীর লেখা ও অলক বাপ্পা’র সুর করা গানÑ প্রেমের মানুষ ঘুমাইলে চাইয়া থাকে…। এরপর গাইলেনÑ রূপ সাগরে ঝলক মারিয়া…। তাঁর গানে আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন সবাই। পরে গাইলেন একতারা বাজাইও না, দোতারা বাজাইয়ো না গানটি। এটিই ছিল তার শেষ পরিবেশনা। এতোগুলো গান শোনার পরও যেন উপস্থিত প্রাক্তন ছাত্রীদের আবদার শেষ হচ্ছিল না। তারা চাইছিলেন আরো গান শুনতে। আনন্দে মজে থাকতে চেয়েছেন আরো কিছুক্ষণ। কিন্তু ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১১টা। সময় বলে দিচ্ছে এবার বাড়ি ফিরতে হবে। কুমার বিশ্বজিতের গানের মুগ্ধতা নিয়েই বাড়ির পথে পা বাড়ালেন চন্দ্রালোকের বালিকারা।
শনিবার রাতে স্কুল গেইটে কথা হয় অনন্যা অগ্নি মল্লিকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, প্রিয় শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ আমাদের মুগ্ধ করেছেন। তার উপস্থিতি ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আয়োজন পরিপূর্ণ হয়েছে, স্বার্থক হয়েছে।
রিংকি ঘোষও তার কথার সঙ্গে সুর মিলালেন। বললেনÑ এমন আনন্দ আর কখনো পাইনি। পুরোটা সময়জুড়ে আমরা ইচ্ছে মতো নেচেছি, গেয়েছি। এই স্মরণীয় দিনগুলোর স্মৃতি কখনো ভুলবো না। এমন দিন যেন আবার ফিরে আসে।
প্রাক্তন ছাত্রী প্রীতিকণা দে জানালেন, এমন আনন্দ আর কবে আসবে জানি না। আমরা বন্ধাবীরা সবাই হারিয়ে গিয়েছিলাম কৈশোরের দিনে। একবারও মনে হয়নি অনেকটা সময় কেটে গেছে… এবার বাড়ি ফিরতে হবে। এই অপার আনন্দ উৎসবে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি ধন্য হয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই আয়োজকদের, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই উৎসব সফল করার জন্য। এই দুটি দিন আমার জীবনে চিরস্মরণী হয়ে থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com