মতিউর রহমান ::
(সতর্কীকরণ : হাইব্রিড বুদ্ধিজীবীরা পড়বেন না)
হাত ধোয়া, পা ধোয়া, মা-বাবা, হাতি-ঘোড়া, গরু-ছাগল সহ কতো দিবস যে এখন পালন করা হয় তার হিসাব নেই। কোটি-কোটি টাকা খরচ হয় এসমস্ত দিবসগুলো পালনে। মাঝে মাঝে এ অধমও দাওয়াত পাই। পেটভরে খাওয়া-দাওয়া, সুদৃশ্য ব্যাগ, আসার সময় কোনো কোনো সংস্থা সম্মানী বাবদ খামও দেয়। আমার একটু আক্কেল কম। শতেকের উপরে সেমিনারে গিয়েছি। কিন্তু এই সমস্ত সেমিনারে জনগণের কি উপকার হয় তা এখনো বুঝিনি। যারা আসলে উপকার হতো, যাদের উদ্দেশ্যে সেমিনার, সেই জনগণই নেই। সব সেমিনারে ঘুরে-ফিরে একই বক্তা ও শ্রোতা। আরও অবাক হই বিদ্যার জাহাজ আমাদের বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য শুনে। দু’হাতে আল্লাহ তা’আলা তাদের জ্ঞানের ভান্ডার পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। এমন কোনো বিষয় নেই যা তারা জানেন না।
রাজনীতিবিদ আলোচনা করেন সাহিত্য-সংস্কৃতির উপর, আলোচনা শুনে দর্শকের সারিতে বসা বাংলার অধ্যাপক মুখ টিপে টিপে হাসেন। কোনো শিক্ষাবিদ যখন রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন, ডাক্তার যখন শিল্প-সাহিত্য নিয়ে, আইনজীবী যখন অংকশাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন, আমলা যখন লিওনার্দ দা ভিঞ্চির অমর সৃষ্টি মোনালিসার হাসি নিয়ে আলোচনা করেন তখন অবাক হয়ে ভাবি এতো প্রতিভাদীপ্ত মানুষ থাকতে দেশ এতো পিছিয়ে কেনো। যদিও পেশাগত বিষয়ে তাদের মধ্যে অমিল রয়েছে। একটা বিষয়ে সবার মধ্যে মিল রয়েছে। যদি কোনো মন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ আমলা উপস্থিত থাকেন তবে তাদের বক্তব্যে তৈল মর্দনের ক্ষেত্রে খাঁটি সুরেশ তেলের নিচে কেউ যান না।
শেষ করার আগে অনুরোধ রইল, স্ব স্ব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের দিয়ে এ সমস্ত অনুষ্ঠানে আলোচনা করানো উচিত।