দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে মৃত্যুর ২৪দিন পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মোশারফ হোসেন মাসেক (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া গ্রামের মাদ্রাসার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে লাশ উত্তোলনকালে দোয়ারাবাজার থানার এসআই রাকিবুল হাসান, স্থানীয় ইউপি সদস্য উজায়ের হোসেন ফারুক, সাংবাদিকবৃন্দসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের রামসাইরগাঁও গ্রামের মৃত হাজী সুরুজ মিয়ার পুত্র মোশারফ হোসেন মাসেক গত ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা শহরের শাসনগাছা মাইজবাড়িকোট এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া আক্তার লাকির পিত্রালয়ে মারা যান। ওইদিনই মৃত মোশারফ হোসেন মাসেকের লাশ তার নিজ বাড়ি রামসাইরগাঁও নিয়ে আসা হয়। পরে ওইদিনই স্থানীয় কলাউড়া মাদ্রাসা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে মোশারফ হোসেন মাসেকের মেয়ে মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস আক্তার রুমি গত ৫ ডিসেম্বর আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ-এ একটি মামলা (সি আর ৩১৫/১৯ দোয়ারাবাজার স্বারক নং ৮৭৯ তারিখ ৫/১২/১৯ ধারা-৩০২/৩৪ দ: বি:) করেন। মামলায় মোশারফ হোসেন মাসুক মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া আক্তার লাকি (৪০), বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ভাওয়ালীপাড়া গ্রামের মৃত মুসলিম ঢালির পুত্র মোজাম্মেল হোসেন (৪০), কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার পূর্ব অসততলা বাগমারা (শাসনগাছা মাজন বাড়ি) গ্রামের নকসুদ আলীর স্ত্রী হাসি আক্তার (৫৫), মৃত রমজান আলীর পুত্র মকসুদ আলী (৬০), মকসুদ আলীর পুত্র ছোটন মিয়া (৩৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে বিবাদী করা হয়।
দোয়ারাবাজার থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি দোয়ারাবাজার থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে গত ১৫/১২/২০১৯ তারিখ ধারা ৩০২/৩৪দঃবিঃ রুজু করা হয়। দোয়ারাবাজার থানার মামলা নং ১২ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯। বিজ্ঞ আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করলে জেলা প্রশাসক মহোদয় লাশ উত্তোলনের জন্য ম্যাজিস্ট্রিরিয়াল দায়িত্ব পালনের জন্য রাহুল চন্দ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুনামগঞ্জকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে লাশ উত্তোলন করে সুরুত হাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।