1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মাঠভরা ধান, কৃষকের মুখে হাসি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সামছুল ইসলাম সরদার ::
এক ফসলী বৈশাখী ধানের এলাকা হিসেবে পরিচিত ভাটি অঞ্চলের দিরাই উপজেলা। উপজেলার নব্বই ভাগ লোকের জীবন-জীবিকার অবলম্বন একমাত্র বোরোধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বৈশাখের শুরুতেই সকল হাওরের ধান পাকতে শুরু করেছে। উদগল, চাপতি, বরাম হাওরের সর্বত্র পাকা ধানের ঘ্রাণ, আনন্দে মাতোয়ারা হাওরপাড়ের কৃষক-কৃষাণী।
দিরাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ৩০ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে ইরি, বোরোসহ উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনেকটা অনুকূল থাকায় এবার ধানের বা¤পার ফলন এবং চাপতি, বরাম, উদগলসহ ছোট বড় সকল হাওরের ধান পাকতে শুরু হয়েছে। বরাম, উদগল হাওরসহ অধিকাংশ হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ নিজেই নিজের ধান কাটা শুরু করেছেন এবং মাড়াই দিয়ে নিজ ঘরে ধান আনা শুরু করেছেন। তবে কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় ধান কাটা এবং মাড়াই নিয়ে কৃষকের মনে তেমন কোনো চিন্তা নেই।
বরাম হাওরপাড়ের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, একসময় আমরা নিজের হাতে ধানের চারা লাগনো, আাগাছা পরিষ্কার, ধান কাটা এবং মাড়াই দিতাম। অন্য এলাকা থেকে ধান কাটার জন্য শ্রমিক আনতাম, কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে আমাদের এখন তেমন কষ্ট হয় না। এখন একদিনে হার্বেস্টার মেশিন দিয়ে ১০-১২ কেয়ার জমিন মাড়া দিয়ে সাথে সাথে ধান ঘরে আনা যায়। এখন টাকা খরচ হলেও ধানকাটা, মাড়াই দেওয়া এবং ধান ঘরে নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে গেছে।
চাপতি হাওরপাড়ের কৃষক সুহেল মিয়া বলেন, এবার আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে থাকায় বৈশাখের শুরুতেই ধান পাকা শুরু হয়েছে। ধানের ফলনও বা¤পার। প্রতি কেয়ারে ২০-২২ মণ ধান হচ্ছে। যদি একসপ্তাহ এভাবে রোদ থাকে তাহলে সকল হাওরের ধান পেকে যাবে।
উদগল হাওরপাড়ের কৃষক মজিদ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি আনন্দের সাথে বলেন, এবার বোরোধানের বা¤পার ফলন হয়েছে। ধানরোপণ, সার বীজসহ ধান ফলাতে একটু বেশি খরচ হলেও ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমরা খুবই আনন্দিত।
ধান শুকাতে ব্যস্ত একাধিক কৃষাণীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে এবং প্রখর রোদ থাকায় তারা সাথে সাথে ধান শুকিয়ে ঘরে আনতে পারছেন। গরমে তাদের কষ্ট হলেও ধান শুকিয়ে বাড়িতে আনতে পারায় তারা খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোরঞ্জন অধিকারী বলেন, ধান লাগানোর মৌসুমের শুরুতেই সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৪ হাজার ৭০০জন কৃষককে সার-বীজ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। ধানের ফলন বৃদ্ধিতে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সবসময় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার সকল হাওরে বা¤পার ফলন হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com