1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বর্জনের সিদ্ধান্তে নাখোশ বিএনপির তৃণমূল

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনেকটা নাখোশ বিএনপির তৃণমূল নেতারা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পর উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের প্রার্থীরা বলছেন, শেষ মুহূর্তে এসে এই সিদ্ধান্ত তাদের হতাশ করেছে। গেল দুই মাস তারা নির্বাচনি মাঠে ছিলেন। বর্জনের সিদ্ধান্ত যেহেতু নেবেই-তা হলে তফসিল ঘোষণার পরপরই জানিয়ে দিতে পারত। এতে তাদের আর্থিক গচ্চা হতো না। আর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী কৌশলী অবস্থানে আছে। তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। তাদের দলীয় প্রার্থীরা বলছেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে কেন্দ্র থেকে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি গত সোমবার রাতে বৈঠক করে বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত স¤পর্কে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার হতে চায় না বিএনপি। সে কারণে ৮ মে থেকে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুই মাস ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান লস্কর তপু। যথারীতি উপজেলা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার একদিন পর কেন্দ্র থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা আসায় হতাশ তিনি। এই প্রার্থীর মতে, শেষ মুহূর্তে এসে দলের এমন সিদ্ধান্তে তৃণমূলের মনোবল ভেঙেছে।
নূরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, দলের উচিত ছিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া। এতে আমাদের নানা দিক দিয়ে সুবিধা হতো। আগে শুনেছি এবার উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দল নমনীয় অবস্থানে থাকবে। শেষ মুহূর্তে এসে না যাওয়ার ঘোষণা দিল। আমি গত দুই মাস ভোটের মাঠে আছি। ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়েছি। এখন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কি না-জবাবে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঠে কাজ করেছেন। তাদের সবাইকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সদস্য গউছ খান বলেন, আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এখন দল যেহেতু ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে; তাই আমরা জেলা বিএনপি আলোচনা করে একটি জায়গায় পৌঁছাব। সবার সম্মিলিত মতামত নিয়ে কাজ করব।
গাজীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ওই উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইজাদুর রহমান। তিনি বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাহিদা ও আগ্রহের কথা বিবেচনা করেই আমি প্রার্থী হয়েছি। এখন দল বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।
দিনাজপুরের বিরামপুরে চেয়ারম্যান পদে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. এনামুল হক মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে আমাদের প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে। বিএনপি বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলেও আমাদের দল এখনও চূড়ান্ত কিছু বলেনি। তাই মাঠে আছি। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সেভাবেই কাজ করব।
প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ জনের বেশি বিএনপির নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জামায়াতেরও তিন ডজন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে যারা ভোটের মাঠে নেমেছেন, তাদের ব্যাপারে বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দলের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। কেউ তার ব্যত্যয় করলে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা প্রার্থী হয়েছেন আমরা তাদের বলব দলের সিদ্ধান্ত মান্য করে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে আসতে। কথা না শুনলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি তাদের সঙ্গে যারা মাঠে কাজ করবে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচেন দলীয় প্রতীক না দিয়ে সরকার নতুন ফাঁদ তৈরি করেছে। বিএনপি সেই ফাঁদে কখনো পা দেবে না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না দল।
জানা গেছে, প্রথম ধাপে দেড়শ’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৮৯১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৫ ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িত অন্তত ২৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এসব তথ্য জানান। এবার স¤পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com