1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

স্থায়ী দোকানে বিক্রি হবে টিসিবির পণ্য : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্থায়ী দোকান তৈরি করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসিরা বাকি পণ্যগুলো আটকে রাখেন, সবগুলো পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু যখন ফিক্সড দোকান করে দেবো তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে তখনই সেই মাল বিক্রি শুরু হবে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। ডিআরইউর সাধারণ স¤পাদক মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।
মাঝে মাঝে টিসিবির পণ্য সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জরুরিভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবি শুরু হয়েছিল। পরে এটাকে একটা কাঠামোতে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যে কোনো পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার।
তিনি বলেন, বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। চট্টগ্রামে আমরা ৪০ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি নতুন গুদাম করেছি। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম করছি। চেষ্টা করবো দ্রুত যেন বাফার স্টক তৈরি করতে পারি। এছাড়া টিসিবিতে আমাদের চার-পাঁচটি পণ্য দেওয়া হয়, অনেক সময় একসঙ্গে সব পণ্য না পেলে ডিসিরা পণ্য দেন না। এজন্য আমরা নির্দিষ্ট দোকান তৈরি করে দেবো, যাতে যখন যে মাল আসবে তখন সেটা বিক্রি শুরু করতে পারবে।
তিন কারণে মাঝে মাঝে টিসিবির পণ্য সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের তিনটা কারণ এক হলো, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। দ্বিতীয় আমাদের সংরক্ষণের জন্য স্টোরেজ নেই এবং ডিলারদেরও ১৫ দিন বা একমাস পণ্য রাখার মতো নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নেই। এই তিন কারণে টিসিবির পণ্য সরবরাহে ৭ বা ১০ দিন আগে-পিছ হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেখানে যে জিনিস ভালো পাওয়া যায় আমরা সেটা সংগ্রহ করে টিসিবির মাধ্যমে নি¤œ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিতরণ করবো। টিসিবির পণ্য হতদরিদ্র মানুষের জন্য নয়। কারণ ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা পণ্য ক্রয় করার ক্ষমতা তাদের নেই। এজন্য এমন মানুষদের স¤পৃক্ত করবো যাতে নি¤œ, মধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের একটু সুযোগ সুবিধা দিতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা আরেকটি বিষয়ে নজর দিচ্ছি সেটা হলো পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি বাড়ানো। এত কিছুর মধ্যেও গত তিন মাসে, প্রতি মাসে আমরা রপ্তানি বাড়িয়েছি। এখন আমরা আমদানিতেও বহুমুখীকরণ করতে চাচ্ছি। যাতে একটি স্থান বা দেশের ওপর নির্ভর না থাকতে হয়। আমরা অনেক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে (এলডিসি) উত্তরণ ঘটবে। এজন্য আমরা তিন বছর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবো। ফলে আগামী পাঁচ বছর আমাদের জন্য আরেক চ্যালেঞ্জিং। একই সঙ্গে আমরা যে সুবিধাগুলো পেতাম সেটা এলডিসি হলে পাবো না। সেজন্য এখনই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের রপ্তানি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com