1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সুনামগঞ্জের রঙ্গারচর গ্রামে অগ্নিকাণ্ড : টিনশেট ঘরসহ ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের রঙ্গারচর গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমান ১২ টায় এই ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুরে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

সরজমিনে, শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমান ১২ টায় প্রথমে আব্দুল হামিদের একটি খড়ের ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পর্যায়ক্রমে আবুল কলামের বসতঘর, আব্দুল কাদিরের ও আব্দুর রহমানের বসতঘরে আগুনের লেলিহান ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত গ্রামের মানুষজন ছুটে আসেন। পরে পাম্পের মাধ‍্যমে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। প্রায় তিন ঘন্টা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনেন এলাকাবাসী।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫টি টিনশেট বসতঘর, ২টি টিনশেট খড়েরঘর, ১টি গরু পুড়ে ছাই, ৩ টি গরু মারাত্মক দগ্ধ, ২০ বস্তা চাউল, ১ শত বস্তা ধান, নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, কাঠের চেয়ার, টেবিল, আলমিরা, প্লাস্টিকের চেয়ার ও টেবিল, কাপড়-চোপড়, বাসন-কোসন, থালা-বাটি, লেপ-তোষক, পালং, টিভি, মূল‍্যবান কাগজ-পত্র, জায়গা-জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এই আগুনের ঘটনায় সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ চৌধুরী সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতি দেখে গেলাম। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। একই সাথে স্থানীয় জনপ্রতিধিরাও সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব‍্যক্তি আবুল কালাম বলেন, আমাদের বসতঘর, গরু, ধান, চাউল, নগদ টাকা ও আসবাবপত্রসহ সারা জীবনের উপার্জন নি:শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে যে এই আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা আমরা জানি না। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব‍্যক্তি আবদুল হামিদ বলেন, তার পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। আরও দুটোর অবস্থা খুবই খারাপ। গোলার ধান পুড়েছে ৫০ মণের মতো। ঘরে কিছু নগদ টাকা ছিল সেগুলো বের করতে পারেননি। আবদুর রহমানের একইভাবে ঘর, গোলার ধান, সব আসবাব, একটি গুরু পুড়েছে। এসব ঘরের লোকজন কোনো রকমে নারী শিশুদের নিয়ে প্রাণ নিয়ে দ্রুত বের হয়ে নিরাপদে যান।

অপর ক্ষতিগ্রস্ত ব‍্যক্তি আবদুল কাদির বলেন, ঘরের কোনো জিনিস বের করতে পারিনি। সব পুড়ে শেষ হয়েছে। এক কাপড়ে জান নিয়া বের হয়েছি। আগুনে আমাদেরকে পথে নামিয়ে দিয়েছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা একটা মর্মান্তিক ঘটনা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা আমরা কেউ জানি না।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর মিয়া বলেন, আগুনের ঘটনার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিশাল সুরমা নদী থাকায় দমকল বাহিনী আসতে পারেননি। পরে আমরা এলাকাবাসী উদ‍্যোগ নিয়ে পাওয়ার পাম্পের পানি দিয়ে অন্তত তিন ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আলীম বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিসকে বলেছিলাম। কিন্তু সুরমা নদীর কারণে তাঁরা সময়মতো ঘটনাস্থলে আসতে পারেননি। তবে শেষ পর্যায়ে এসে তাঁরা স্থানীয়দের সহযোগিতা করেছেন। রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চারটি পাম্প দিয়ে লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কদ্দুছ বলেন, আমরা ধারণা করছি খড়েরঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪টি টিনশেট বসতঘর, ২টি খড়েরঘর পুড়েছে। একই সাথে ৪টি গরু দগ্ধ হয়েছে। ১টি পুড়ে ছাই হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com